নদিয়ার কালিগঞ্জে দুষ্কৃতীদের গুলিতে যুবকের খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ালো। শনিবার সন্ধ্যায় কালিগঞ্জের (Kaliganj) চাঁদপুরের বাসস্ট্যান্ডের কাছে একটি চায়ের দোকানে বসে থাকার সময় দুষ্কৃতিরা এসে তাঁকে গুলি করে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। পরিবারের দাবি গুলি চালানোর পর মৃত্যু নিশ্চিত করতে তাঁকে কোপানো হয়। যদিও কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তাঁদের চিহ্নিত করতে পারেনি পরিবারের সদস্যরা।
হাফিজুল শেখ (Hafizul Sheikh) নামে ওই যুবক শনিবার সন্ধ্যায় চায়ের দোকানে বসে থাকা অবস্থায় অতর্কিতে হামলা চালায় কিছু দুষ্কৃতী। মৃতের দাদা জয়নুদ্দিন শেখের দাবি, “দুষ্কৃতীরা প্রথমে কোমরে গুলি করে। পরে পরপর দুটি গুলি চালায় মাথা লক্ষ্য করে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় হাফিজুলের। তারপর তাঁকে কোপায় দুষ্কৃতীরা।” এরপরই আসরে নামে বিজেপি। কৃষ্ণনগর (Krishnanagar) কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায় রবিবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দাবি করেন মৃত হাফিজুল তাঁদের কর্মী ছিলেন।
হাফিজুলের পরিবারের দাবি, তাঁরা সিপিআইএম (CPIM) সমর্থক ছিলেন। ২০২৩ পঞ্চায়েত ভোটে হাফিজুল সিপিআইএম-এর প্রার্থী হয়। জয়লাভও করে হাফিজুল। তবে লোকসভা নির্বাচনের আগে গোটা পরিবার বিজেপিতে যোগ দেয়। কৃষ্ণনগর লোকসভার অন্তর্গত কালিগঞ্জে নির্বাচন হয়ে গিয়েছে চতুর্থ দফায়, ১৩ মে। এতদিন এলাকায় কোনও ধরনের রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটেনি। পুরোনো শত্রুতার জেরে খুনের ঘটনায় বিজেপি রাজনীতির আসরে নেমে দাবি করেছে তৃণমূলের হাতে খুন হয় হাফিজুল।
যদিও তৃণমূলের পাল্টা দাবি, ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কোনওভাবেই জড়িত নয়। সাধারণ দুষ্কৃতী কার্যকলাপকে রাজনৈতিক রঙ দেওয়ার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। যদি রাজনৈতিক রঙ থাকে এই ঘটনায় তবে হাফিজুলের অতীত রাজনৈতিক পরিচয় খুঁজে দেখার দাবি তৃণমূলের। সেক্ষেত্রে যে সিপিএম ছেড়ে লোকসভা ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দেন হাফিজুল, সেই বামেদের দিকেই আঙুল তুলেছে তৃণমূল।