তিনি সরকারি হাসপাতালের রোগীদের পরিবারের মুখে তুলে দেন খাবার। নয় নয় করে সাত বছর। দরিদ্র, অসহায় পরিবারগুলিকে দুবেলা খাবার দিয়ে সাহায্য করেছেন৷ শহর কলকাতার একজন পুলকার চালক হয়ে উঠেছেন ‘হসপিটাল ম্যান’৷ সরকারি হাসপাতালের রোগীদের পাশে থাকতে হয় তাদের বাড়ির লোকেদের৷ দিনভর চিকিৎসা সংক্রান্ত দৌড়াদৌড়িতে সময় চলে গেলে তাদের আর খাওয়ার সময় মেলে না৷ তাছাড়া চিকিৎসা ব্যয়ে জর্জরিত পরিবারগুলির খাবার কিনে খাওয়ার সামর্থ্যও অনেক সময় থাকে না ৷তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশে বিপুল জনসংখ্যায় রোগীর পরিবারকে খাবার জোগান দেওয়ার ব্যবস্থা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফেও করা হয়নি ৷ তাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, রোগীর খাবার থেকেই ভাগ নিচ্ছেন পরিবারের মানুষজন৷ এতে রোগীর পুষ্টির ঘাটতি হয়ে যায়৷ প্রতিদিন দেড়শ জনকে খাবার দিই। বিশেষ করে নির্বাচনের দিন। সমস্যাটা নিয়ে বিচলিত হয়েছিলেন দক্ষিণ কলকাতার কালীঘাট এলাকার বাসিন্দা পেশায় পুলকার চালক পার্থ কর চৌধুরী৷
তিনি সাত বছর লাগাতার ঝড়বৃষ্টি উপেক্ষা করে তিনটি সরকারি হাসপাতালের সামনে রোগীর পরিবারের মুখে তিনবেলা খাবার তুলে দিয়েছেন বিনা পয়সায়৷ প্রত্যেক নির্বাচন এর মতোই এবারও সরকারি হাসপাতালের রোগীর আত্মীয় এবং প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল থেকে নির্বাচনের দিন আউটডোরে দেখাতে আসা মানুষ খাবারের অভাবে ভোগেন। কারণ, বেশিরভাগ খাবার দোকান নির্বাচনের দিন বন্ধ থাকে। ফলে তাদের অধিকাংশকেই জল খেয়ে কাটাতে হয়। হসপিটাল ম্যান আজ, শেষ পর্বের লোকসভা ভোটের দিনও কলকাতার দুটো সরকারি হাসপাতালে প্রায় ১২০ জন মানুষের মুখে খিচুড়ি, পাঁপড়, ডিম, আর লাড্ডু তুলে দিলেন। সিএনসিআই হাসপাতাল( ক্যান্সার) এবং শম্ভুনাথ পন্ডিত হাসপাতালে শনিবার তিনি সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত এই কর্মকাণ্ড নিয়ে মানুষের পাশে ছিলেন।