আইনানুগ পথেই জামিন পেলেন রাষ্ট্রদ্রোহিতায় (UAPA) অভিযুক্ত গবেষণার ছাত্র সারজিল ইমাম (Sharjeel Imam)। বুধবার তাঁর জামিন মঞ্জুর করে দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court)। তবে তাঁর জামিনের বিষয়ে আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং (Indira Jaisingh) দাবি করেন হিংসার বক্তৃতা নিয়ে ভারতের আইন এখনও অনুন্নত। এপ্রসঙ্গে তিনি বর্তমান নির্বাচনী প্রচার পরিস্থিতির কথা তুলে ধরেন। রাষ্ট্রদ্রোহিতায় অভিযুক্ত সারজিল সর্বোচ্চ সাজার অর্ধেকের বেশি সময় জেলের ভিতরে কাটিয়ে ফেলায় জামিন পেলেন তিনি।

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও এনআরসি-র বিরোধিতায় আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় (AMU) ও জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (JMU) বিদ্বেষমূলক বকত্ৃতা দেওয়ায় অভিযুক্ত হন জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (JNU) গবেষণার পড়ুয়া সারজিল ইমাম। ২০২০ সালের ২৮ জানুয়ারি ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারির পরে তাঁকে ২০২০ সালের দিল্লি জাতিগত হিংসার সঙ্গে সম্পর্কিত বৃহত্তর ষড়যন্ত্র মামলারও একজন অভিযুক্ত হিসাবে যুক্ত করে দেওয়া হয়। বুধবার দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সুরেশ কুমার কায়েত এবং মনোজ জৈনের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি ওঠে।

আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং জামিনের পক্ষে দাবি করেন, ভারতের বিদ্বেষমূলক আইন এখনও অনুন্নত (underdeveloped)। সেই প্রসঙ্গে তিনি টেনে আনেন সাম্প্রতিক লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে অনেক বিদ্বেষমূলক বক্তব্য শোনা গিয়েছে, কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের মতো স্বশাসিত সংস্থার ব্যর্থতার কথাও তিনি তুলে ধরেন। কলেজ বা শিক্ষাক্ষেত্রে স্বাধীন চিন্তাভাবনা ও মত পোষণ বিষয়টির সপক্ষেও দাবি করেন তিনি।

ইমামের যুক্তি ছিল যে তিনি ইতিমধ্যেই সর্বোচ্চ সাত বছরের সাজার মধ্যে চার বছর কারাগারে কাটিয়েছেন এবং তাই তিনি বিধিবদ্ধ জামিনের যোগ্য। সেই আইনেই জামিন পান তিনি। তবে দিল্লি হিংসার মামলায় অভিযুক্ত হওয়ায় তিনি এখনই জেল থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না। মঙ্গলবার রাষ্ট্রদ্রোহিতায় অভিযুক্ত আরেক প্রাক্তন জেএনইউ ছাত্র উমর খালিদের (Umar Khalid) জামিনের আবেদন ফিরিয়ে দেয় দিল্লি হাইকোর্ট।











































































































































