মহারাষ্ট্রের নতুন শিক্ষানীতিতে মনুসংহিতাকে (Manusanghita) রাখার পদক্ষেপ থেকে শেষ পর্যন্ত সরে আসতে বাধ্য হল মহারাষ্ট্র (Maharashtra) সরকার। সাংবাদিক সম্মেলন করে নিজেই জানালেন শিক্ষামন্ত্রী দীপক কেশরকার (Deepak Kesarkar)। তাঁর সাফাই প্রাথমিক প্রস্তাবনায় মনুসংহিতাকে পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত রাখার প্রস্তাবনা করা হলেও তা একেবারেই প্রাথমিক ছিল, এবং সরকার কখনই তা অনুমোদন দিত না। সেই সঙ্গে ‘ভুল করে’ খসড়া প্রস্তাবনা (drafts chapter) প্রকাশ্যে চলে এসেছে। তবে ভুল করে প্রস্তাবনা সামনে আসার কারণেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে বিরোধিদের তরফে।
মহারাষ্ট্র সরকারের স্টেট কারিকুলাম ফ্রেমওয়ার্ক ফর স্কুল এডুকেশন-এর তরফে যে খসড়া প্রস্তাবনা প্রকাশ্যে আসে তাতে মনুস্মৃতি (Manusmriti) থেকে কিছু অংশ পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব ছিল। সেই সঙ্গে মারাঠি ভাষাকে আবশ্যক পাঠ্যসূচি থেকে বাদ দেওয়া হয়। একাদশ ও দ্বাদশের পাঠ্যসূচি থেকে ইংরাজিকেও বাদ দেওয়া হয়।
বিরোধীদের সমালোচনার পরে প্রকাশ্যে এসে বিবৃতি দিতে বাধ্য হন শিক্ষামন্ত্রী দীপক কেশরকার। তিনি দাবি করেন নতুন করে কোনও পাঠ্যসূচি সংযোজন করা হবে না। পাশাপাশি তিনি স্পষ্ট করেন প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত মারাঠি ও ইংরাজি পড়া আবশ্যক থাকবে। সেই সঙ্গে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে হিন্দি, সংস্কৃত, অন্যান্য ভারতীয় ভাষা ও বিদেশি ভাষার মধ্যে একটি পড়বে। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে একটি ভারতীয় ও একটি বিদেশি ভাষা (foreig language) পড়তে হবে। যদিও এক শ্রেণির রাজনীতিকদের দাবি, খসড়া শিক্ষানীতি বাইরে প্রকাশ করে মহারাষ্ট্র সরকার নির্বাচনের সময়ে বাইরের রাজনীতি মেপে নিল। প্রতিবাদ শুরু হতেই ফেরৎ নেওয়া হল মনুসংহিতার অধ্যায়।