দুর্বল হওয়ার আগে মিজোরামে তাণ্ডব রেমালের, ধস চাপা পড়ে মৃত ১৫

0
1

বাংলায় দাপট দেখিয়ে এবার উত্তর পূর্বে এগিয়ে চলেছে রেমাল (Cyclone Remal)। হাওয়া অফিসের (weather department) কর্তারা বলছেন স্থলভাগ দিয়ে এতটা পথ আসতে গিয়ে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় শক্তি হারিয়েছে ঠিকই, কিন্তু সম্পূর্ণরূপে দুর্বল হয়ে যায়নি। মিজোরামে রেমালের তাণ্ডব সেই প্রমাণ দিয়েছে। উত্তর পূর্বের রাজ্যে (North East State) বাড়ছে বিপর্যয়। পাথর খনিতে একের পর এক ধস নেমে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা।এদিন সকালে রাজধানী আইজলের মেলথাম এবং হিলমেন জেলার বিভিন্ন খাদানে ধস (landslide in various ditches in Meltham and Hillmen districts of Aizawl) নেমে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। পাথরের নিচে অনেকের আটকে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের মাঝামাঝি উপকূল এলাকা দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করেছিল রেমাল। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ অঞ্চল ধ্বংস করে এবার পাড়ি দিয়েছে উত্তর-পূর্বের পথে। মিজোরামের (Mizoram ) মুখ্যমন্ত্রী লালদুহোমা জানিয়েছেন, ধ্বংসস্তূপের নীচে এখনও বেশ কয়েজন আটকে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। খনি এলাকার পার্শ্ববর্তী ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে খবর। দুর্যোগের মধ্যেই শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ।

অসমেও রেমালের প্রভাবে (Remal affects in Assam) বিপর্যস্ত জনজীবন। দিমা হাসাও জেলায় ভারী বর্ষণে নদীর জলস্তর এতটাই বেড়ে গেছে যে রাস্তা ভেসে যাচ্ছে। ফলে হাফলং-শিলচর সংযোগকারী সড়ক বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।জেলার ডেপুটি কমিশনার সিমন্ত কুমার দাস জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসন হাফলং-শিলচর কানেক্টর আগামী ১ জুন পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঝড় এবং ভারী বৃষ্টির কারণে একজনের মৃত্যু এবং ১৭ জনের জখম হওয়ার খবর মিলেছে।