বাংলাদেশের সাংসদ খুনে দেহাংশ খোঁজাই চ্যালেঞ্জ, জোড়া তল্লাশি

0
3

কোনও চলচ্চিত্র বা ক্রাইম থ্রিলারের প্লটকেও হার মানাবে বাংলাদেশের ঝিনাইদহের (Jhinaidah) সাংসদ আনোয়ারুল আজিম খুনের গোটা ‘চিত্রনাট্য’। ঠাণ্ডা মাথায় বেশ অনেকদিন ধরে পরিকল্পনা সাজিয়েই যে বাল্যবন্ধু আখতারুজ্জামান শাহিন বানিয়েছিলেন এই প্লট তা নিয়ে আর কোনও সন্দেহই নেই বাংলাদেশ গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান হারুন উর রসিদের (Harun ur Rashid)। কিন্তু কীভাবে আর কোথায় সেই দেহাংশ লোপাট করা হয়েছে তা নিয়েই এখনও ধন্দে বাংলাদেশ গোয়েন্দা বিভাগ আর রাজ্যের সিআইডি (CID)। তবে সিআইডি আধিকারিকরা যেভাবে সাহায্য করছেন তাতে খুব শীঘ্র দেহাংশ খুঁজে পেতে আশাবাদী প্রতিবেশী দেশের গোয়েন্দা প্রধান। মঙ্গলবার সকালে ফের দুই জায়গায় শুরু তল্লাশি অভিযান।

এরাজ্যের তদন্তকারীদের সাহায্যে বাংলাদেশে গ্রেফতার হওয়া আততায়ী শিমুলকে জেরা করে যে তথ্য পেয়েছে বাংলাদেশ গোয়েন্দা বিভাগ (NSI), তার সূত্র ধরে মঙ্গলবার সকালে খালে ও নিউটাউনের (New Town) একটি মলে তল্লাশি শুরু হয়। গত চারদিন ধরে ভাঙড় এলাকায় বাগজোলা খালে তল্লাশি চালানো হয়েছিল। সোমবার রেমালের জন্য তল্লাশি বন্ধ থাকলেও মঙ্গলবার সকাল হতেই আবার সিআইডি আধিকারিকরা জেলেদের নিয়ে তল্লাশি শুরু করে। কসাই জিহাদকে নিয়ে ঘটনার পুণর্নির্মাণ করা এলাকার এক কিলোমিটার দূর পর্যন্ত তল্লাশি চালানো হয়।

অন্যদিকে নিউটাউনের একটি মলে দেহাংশ লুকানো হয়েছে বলে জেরায় জানতে পারে সিআইডি ও বাংলাদেশ পুলিশ। সেই মতো মঙ্গলবার ওই মলে তল্লাশিতে যায় বাংলাদেশ গোয়ান্দাদের একটি দল। বেশ কয়েকটি দোকান ও মলের নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় শুরু হয় তল্লাশি। তবে খুনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত জিহাদ বা শিমুলের মতো আততায়ীদের ধরতে পারলেও এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত আখতারুজ্জামান শাহিন বা সিয়ামরা। এই দুই মাস্টার মাইন্ড আমেরিকা ও নেপালে পালিয়ে গিয়েছে বলে বাংলাদেশ গোয়েন্দা বিভাগের অনুমান।