দেশের একদিকে যখন ঘূর্ণিঝড়ের জন্য় জারি করতে হচ্ছে লাল সতর্কতা, ঠিক তখনই দেশের পশ্চিম প্রান্ত জ্বলছে। একাধিক রাজ্যে জারি করতে হচ্ছে লাল সতর্কতা (red alert)। দেশের দুই প্রান্তে আবহাওয়ার এই বিরাট পার্থক্য, তাপমাত্রার ব্যাপক তফাত একটা বড়সড় প্রাকৃতিক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। রাজস্থানে প্রবল তাপপ্রবাহে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের।

শুক্রবার রাজস্থানের (Rajasthan) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৫০ ছুঁয়েছিল। রাজ্যের ফালোদিতে (Phalodi) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দেখা গিয়েছিল। এর আগেই ৪৭ ডিগ্রিতে রাজস্থানের বিকানেরে (Bikaner) গরম বালিতে পাঁপড় সেঁকেছিলেন এক বিএসএফ (BSF) জওয়ান। তাপমাত্রা বৃহস্পতিবার ৪৮ ডিগ্রি ছোঁয়ার পর এক জওয়ানের বালিতে ডিম সিদ্ধ করার ভিডিও-ও ভাইরাল হয়েছিল। তবে শুক্রবার সব ছাড়িয়ে মরুরাজ্যের তাপমাত্রা হাফ সেঞ্চুরি ছুঁল। শনিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত রাজস্থানে লাল সতর্কতা জারি রেখেছে মেটেরোলজিক্যাল বিভাগ (IMD)।

তবে শুধু রাজস্থান নয়, শনিবার লাল সতর্কতা জারি থাকছে হরিয়ানাতেও। সেই সঙ্গে কমলা সতর্কতা (orange alert) জারি করা হয়েছে দিল্লি, পঞ্জাব, পশ্চিম উত্তর প্রদেশ, পশ্চিম মধ্যপ্রদেশ ও মধ্য মহারাষ্ট্রে। রবিবারের পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার পূর্বাভাস। লাল সতর্কতা জারি থাকছে রাজস্থান সহ দিল্লি, পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশের পশ্চিমাঞ্চলে। সেই সঙ্গে কমলা সতর্কতা মধ্যপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রে।

শুক্রবার প্রবল তাপপ্রবাহের কারণে তিনদিনে রাজস্থানে মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। তবে তথ্য প্রকাশ নিয়েও জটিলতা তৈরি করছে বিজেপি শাসিত রাজস্থান। বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী কিরোডি লাল মীনা (Kirodi Lal Meena) মৃতের সংখ্যা শুক্রবার পর্যন্ত ১২ জানান, অথচ সরকারিভাবে জানানো হয় ৮ জনের মৃত্যুর তথ্য। শনিবার মৃত্যু হয়েছে আরও দুজনের।










































































































































