রবীন্দ্র-নজরুলের ভাষায় বিজেপির ‘শিকল বিকল’ করার ডাক তৃণমূল সুপ্রিমোর

0
1

দমদম লোকসভা কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী সৌগত রায়ের সমর্থনে নির্বাচনী প্রচারসভা থেকে রবীন্দ্র-নজরুলের কবিতা উদ্ধৃত করে গেরুয়া শিবিরকে ধুয়ে দিলেন তৃণমূলের (TMC) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। শনিবার, সন্ধেয় রাজারহাট-গোপালপুরের সভায় সৌগত রায় ছাড়াও ছিলেন মন্ত্রী সুজিত বসু, বিধায়ক অদিতি মুন্সি, সব্যসাচী দত্ত, কৃষ্ণা চক্রবর্তী-সহ উত্তর চব্বিশ পরগনার নেতৃত্ব। আর সেই মঞ্চ থেকেই নজরুলের ভাষায় তৃণমূল সুপ্রিমোর বার্তা, “কারার ওই লৌহকপাট, ভেঙে ফেল কর রে লোপাট, রক্তজমাট শিকল পুজার পাষাণ বেদী।“এদিন মঞ্চে নজরুল জয়ন্তী পালন করেন মমতা। বলেন, এই দিনে নজরুল দিবস পালন করা হয়। নজরুল তীর্থে সেই উপলক্ষে অনুষ্ঠান হচ্ছে। অদিতি মুন্সি ও ইন্দ্রনীল সেনকে গান করার কথা বললেন মমতা। গলা মেলালেন নিজেও। রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের ভাষায় প্রতিবাদ করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। আওড়ান একের পর এক কবিতা। তাঁর কথায়, “রিকশাওয়ালর ভোটের যা অধিকার, আদানি, অম্বানিরও ভোটের তা-ই অধিকার। রাজাপ্রজায় ভাগাভাগি নেই। ভোট সকলের জন্য। কারাগার বানিয়ে দিয়েছে মোদি সরকার। দেশটাকে কারাগার বানিয়েছে। সকলকে জেলে ঢোকাচ্ছে। নজরুলের ভাষায় প্রতিবাদ করব। কারার ওই লৌহকপাট…। বিজেপির শিকল বিকল করব”

তৃণমূল সভানেত্রী জানান, ”বাংলাই পথ দেখাবে দিল্লিকে। বাংলা না থাকলে দেশের স্বাধীনতা হত না। এই বিজেপি (BJP) সরকারকে উপড়ে ফেলতে পারি, সেই বিশ্বাস রয়েছে। ‘বাঁধ ভেঙে দাও’, রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন। ভাঙো বিজেপিকে ভাঙো। ভাঙো এনআরসি ভাঙো। ভাঙো ভেদাভেদ ভাঙো। ভাঙো অভিন্ন দেওয়ানি বিধিকে ভাঙো।”

গত ২ মাস ধরে তিনি প্রচার করছেন। তাও এদিন কেন আবার এই লোকসভা কেন্দ্র? তৃণমূল সুপ্রিমো জানালেন, ”দু-মাস ধরে বক্তৃতা করছি। মিছিল করছি। গলায় কিছু নেই। অদিতিকে আগেই বলেছি। ছোট্ট মেয়েটিকে ভালবাসি। কাল অদিতি মেসেজ করল। তুমি এত খাটছ ভয় লাগছে বলতে। আমাদের বাগুইআটির লোকজন তোমার জন্য অপেক্ষা করে রয়েছেন। ওঁকে বললাম, তুমি দিদির কাছে আবদার করেছো, দিদি রাখবেন না, হয় না। এক দিনের নোটিশে যা পরবে করুক।”

এই সভা থেকে একের পর এক তিরে নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) বিদ্ধ করেন মমতা (Mamata Banerjee)। তীব্র আক্রমণ করে তিনি বলেন, ”বিজেপির নোংরা খেলা দেখলে মনে হয় তুমি কি কেবল ছবি! কবি বেঁচে থাকলে বলতেন, যাও যাও যাও। গ্যারান্টি বুঝি না। ভুল হলে ধরিয়ে দেবেন। ১৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে, মোদি বাবু কি বলেননি? কথা কি রেখেছেন? গ্যারান্টি দিয়ে কথা না রাখলে ফোর টোয়েন্টি। ২ লক্ষ চাকরি দেবে বলেছিল। আজ চাকরি দিলেও খেয়ে নিচ্ছে। চাকরিখেকো বাঘ দেখেছেন?”

প্রার্থীর সৌগতর প্রশংসা করে তৃণমূল সভানেত্রী বলেন, ”সৌগতদার কোনও ক্লান্তি নেই। যে যেখানেই ডাকুন, তিনি চলে যান ঠিক। পকেটে থাকে লজেন্স।”