রাজ্যে পঞ্চম দফায় ভোট গ্রহণ হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুর কেন্দ্রে। এবার এই আসনটি ছিল নজরকাড়া। যেখানে বিজেপি প্রার্থী “পল্টুরাম – বাহুবলী” অর্জুন সিং। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী রাজ্যের মন্ত্রী নিপাট ভদ্রলোক পার্থ ভৌমিক। ব্যারাকপুর লোকসভায় এবার “সন্ত্রাস-গুণ্ডারাজ” ছিল বড় ইস্যু। মানুষের সম্মিলিত প্রতিরোধে ভোটের দিন বাহুবলী অর্জুন সিং ছিলেন কার্যত কোণঠাসা। অন্যদিকে, ফুরফুরে মেজাজে বুথে বুথে ঘুরেছেন পার্থ। এবার ব্যারাকপুরে অর্জুনের রাশ ছিল অনেকটাই কম। দলবদলু বুঝে গিয়েছেন ব্যারাকপুরের মাটিতে তাঁর খেল খতম। সেই জায়গা থেকেই আগেভাগে অজুহাত তৈরি রাখছেন অর্জুন। তাঁর “আশঙ্কা” গণনার কারচুপি করতে পারে তৃণমূল। এই মর্মে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়েছেন ব্যারাকপুরের বিজেপি প্রার্থী। তৃণমূল বলছে হাস্যকর। নিশ্চিত হার বুঝতে পেরে অজুহাত খাড়া করছেন অর্জুন।

আগামী ৪ জুন লোকসভা নির্বাচনের গণনা ও ফলপ্রকাশ। ঘোষণার দিন ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের গণনাকেন্দ্র রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ কলেজে প্রভাব খাটিয়ে তৃণমূল গণনায় কারচুপি করতে পারে। এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিলেন বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং। এক্স হ্যান্ডেলেও এ নিয়ে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে পোস্ট করেছেন। সাংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়েও তিনি এই প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন।

অর্জুন সিংয়ের দাবি, “পুলিশের প্রোটেকশন পাওয়া কেউ, বিধায়ক, পুরসভার চেয়ারম্যান নিয়মানুসারে গণনা কেন্দ্রের ভিতরে প্রবেশ করতে পারে না। কিন্তু আমার কাছে খবর আছে, এই রকম অনেকেই কাউন্টিং সেন্টারের ভিতরে থাকার জন্য ভুয়ো কার্ড বানাচ্ছে। গত বিধানসভা ভোটে কাউন্টিং হলে থেকে প্রশাসন এবং তৃণমূল কারসাজি করে বিজেপির অনেক প্রার্থীকে হারিয়েছিল। পঞ্চায়েত ভোটেও বিডিওরা বিজেপির এজেন্টদের বার করে ফলস সার্টিফিকেট ইস্যু করেছিল। এবার তেমনই করতে চাইছে।” একইসঙ্গে তাঁর আরও অভিযোগ, “রান্না করার নাম করেও কিছু অপরাধীদের গণনা কেন্দ্রের ভিতরে ঢোকানো চেষ্টায় রয়েছে তৃণমূল। তাই আমি বলব, গণনা কেন্দ্রের ভিতরে যেন রান্না না হয়, খাবার বাইরে থেকেই আনানো হোক। গণনা কেন্দ্রের গেট থেকে ভিতরের সমস্ত জায়গার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দেওয়া হোক। কাউন্টিং হলের ভিতরে থেকে ব্যাপকভাবে কারচুপির চেষ্টার এই সমস্ত বিষয় জানিয়ে ইলেকশন কমিশনকে চিঠি দিয়েছি।”

বিজেপি প্রার্থীর এমন অমূলক দাবিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম বলেন, ”নিজের কথা কি ভুলে যায়? গতবার লোকসভায় তৃণমূল প্রার্থী দীনেশ ত্রিবেদী যখন গণনা। কেন্দ্র থেকে বের হচ্ছিল, তাঁকে হেনস্থা করা হয়েছিল। আসলে ভয় পাচ্ছে, কারণ বিজেপি বুঝতে পেরেছে হেরে যাবে। তাই ওদের কাউন্টিং এজেন্ট কেউ যেতে চাইছে না। কিছু গদ্দার আছে যারা যাবে, তারা তৃণমূলের খেয়ে বড় হয়েছে, তৃণমূলের নামেই চলত। তাছাড়া কেউ যাবে না।” সবমিলিয়ে এবার ব্যারাকপুরে প্রবল চাপে বিজেপি। তাদের প্রার্থী অর্জুন সিংয়ের শরীরী ভাষা বলছে, তিনি জিতলে সেটাই হবে “অঘটন”!
আরও পড়ুন- ইয়াসের স্মৃতি উসকে ‘রেমাল’-র হাতছানি! বাংলা থেকে কতদূরে ঘূর্ণিঝড়? বড় আপডেট আলিপুরের








































































































































