ইনসাফের দাবি সেই ২০০৭ সাল থেকে। আদালত, বিচার ব্যবস্থা, তদন্তকারী সংস্থা বিচার দেবে কীভাবে যদি সাক্ষীই থাকে ‘নিখোঁজ’। অবশেষে সেই নিখোঁজ সাক্ষী প্রিয়াঙ্কা টোডি (Priyanka Todi) সাক্ষ্য দিলেন রিজওয়ানুর রহমানের (Rizwanur Rahman) অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলায়। রুদ্ধদ্বার কক্ষে সাক্ষ্য দিলেন প্রায় ১৭ বছর আগের মৃত ‘স্বামী’র রহস্যমৃত্যুর। বাম জমানায় যেভাবে প্রভাবশালীর ক্ষমতা খাটিয়ে মধ্যবিত্ত পরিবারের যুবক মৃত্যুর তদন্ত প্রভাবিত করার চেষ্টা হয়েছিল, তৃণমূলের সময়ে সেই মামলায় যেন এবার যবনিকা পতনের ইঙ্গিত।
সিবিআইয়ের (CBI) তদন্তাধীন এই মামলায় জানুয়ারি মাসে এক সাক্ষীর অনুপস্থিতিতে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। অন্যদিকে এই মামলায় সাক্ষ্য দিতে এত বছরেও নানা টালবাহানায় দেখা যায়নি রিজওয়ানুরের রেজিস্ট্রি বিয়ে করা স্ত্রী প্রিয়াঙ্কাকে। মৃত গ্রাফিক ডিজাইনারের (graphic designer) বৃদ্ধা মা হুইল চেয়ারে বসেও সাক্ষ্য দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রিয়াঙ্কা তখনও ‘নিখোঁজ’।
মঙ্গলবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে কালো পোশাকে আসেন সেই প্রিয়াঙ্কা। মাস্ক আর সানগ্লাসে মুখ এমনভাবে ঢেকে তিনি আদালতে আসেন যাতে চেনাই যায় না। তবে রিজওয়ানুরের মৃত্যুর তদন্তে এতদিন কেন তিনি প্রকাশ্যে আসেননি, তার উত্তর এদিন পাওয়া যায়নি তাঁর কাছে। তবে শুধু প্রিয়াঙ্কা টোডি নয়, মঙ্গলবার সাক্ষ্য দিতে উপস্থিত হন প্রিয়াঙ্কার কাকা প্রদীপ টোডি, অন্য এক আত্মীয় অনিল সারোগি। আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলায় এই সব সাক্ষীর বয়ানের ভিত্তিতে এবার বিচার পাওয়ার আশায় বৃদ্ধা কিশওয়ার জাহান।