ঝাড়গ্রামে ভোটগ্রহণের পরে আর ১০দিন মোদি সরকারের মেয়াদ: সাফ জানালেন অভিষেক

0
2

ষষ্ঠ দফায় ২৫ মে ভোট গ্রহণ ঝাড়গ্রামে। তার আগে রবিবার দলীয় প্রার্থী কালীপদ সোরেনের সমর্থনে প্রচার সভা থেকে তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Bandyopadhyay) জানিয়ে দিলেন, যেদিন ওই কেন্দ্রের মানুষ ভোট দিতে যাবেন তার থেকে কেন্দ্রের মোদি সরকারের মেয়াদ থাকবে আর দশ দিন। অর্থাৎ কেন্দ্রীয় এবার সরকার পরিবর্তন হচ্ছেই- বার্তা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের। পাশাপাশি, ফের মোদি সরকার জিতলে অভিন্ন দিওয়ানি বিধি লাগু করে সংরক্ষণ তুলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করবে বলেও আদিবাসী অধ্যুষিত ঝাড়গ্রামে আশঙ্কা প্রকাশ করেন অভিষেক।

ঝাড়গ্রাম আসন থেকে গতবার জিতেছিলেন বিজেপির (BJP) কুনার হেমব্রম। কিন্তু এবার তাঁকে প্রার্থী করেনি গেরুয়া শিবির। মাস্টার স্ট্রোক দিয়ে তাঁকে অভিষেকের সভায় দলে যোগ দেওয়ালো তৃণমূল। এবার এই আসনে তৃণমূল প্রার্থী করেছে সাঁওতালি সাহিত্যিক কালীপদ সোরেনকে (Kalipada Soren)। সেই সভায় দাঁড়িয়ে বিজেপিকে হটানোর ডাক দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, যদি বিজেপি জেতে, তাহলে দেশে অভিন্ন অভিন্ন দিওয়ানি বিধি চালু করবে। যার জেরে উঠে যেতে পারে সংরক্ষণ। তবে অভিষেকের (Abhishek Bandyopadhyay) কথায়, যেদিন ঝাড়গ্রামের মানুষ ভোট দিতে যাবেন, তার থেকে আর ১০ দিন থাকবে মোদি সরকারের মেয়াদ। অভিষেকের কথায়, ৪ তারিখ পরিবর্তন হচ্ছেই কেউ আটকাতে পারবে না।

কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগে অভিষেক বলেন, ‘‘১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ করে রেখেছে বিজেপি। নবজোয়ার যাত্রায় যখন ঝাড়গ্রামে এসেছিলাম, মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। দুই আদিবাসী ভাই তাঁদের মাকে নিয়ে ছাতা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। তাঁরা বলেছিলেন, ১০০ দিনের কাজের টাকা পাইয়ে দিন। তাঁরা বলেছিলেন, বিজেপিকে ভোট দিয়ে ভুল করেছি। খাল কেটে কুমির এনেছি।’’ তীব্র কটাক্ষ করে অভিষেক বলেন, ‘‘কেউ যদি বলেন, বিজেপি আবাসের টাকা দিয়েছে, তাঁকে বেঁধে রাখবেন। আমি বলে দিয়ে গেলাম। রেকর্ড করুন। এঁরা মিথ্যাবাদী। এক পয়সা আবাসের জন্য দেননি।’’

ভোট নিয়ে চলে গিয়ে দশ বছর টিকি পাওয়া যায়নি বিজেপির। অথচ ভোট না পেয়েও লাগাতার ঝাড়গ্রামের উন্নয়নে কাজ করে চলেছে রাজ্যের তৃণমূল সরকার। অভিষেক জানান, ‘‘এখানে উর্বর জমির পরিমাণ কম। নয়াগ্রামে দাঁড়িয়ে আছি। এখানে মাটি কাটলে জলস্তর পাবেন ৫০ ফুট নীচে। আমাদের সরকার পদক্ষেপ করেছে। করলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই করবেন। আগে কী পরিস্থিতি ছিল এই ঝাড়গ্রামের। কখনও বন্‌ধ, কখনও হরতাল, কখনও মানুষ মারার রাজনীতি চলেছে। তার পর আপনারা পরিবর্তন আনলেন। তার পর উন্নয়নের জয়যাত্রা চলছে। সর্বত্র আমাদের সরকার কাজ করেছে। ১০ বছরে ১০ পয়সা দিয়ে এখানে সাহায্য করেনি বিজেপি। যিনি ঘর করেছিলেন ১০ বছর, তিনিও বলছেন।’’

আগেরবার তিনি যখন এসেছিলেন তখন বিজেপি গোলমাল পাকানোর চেষ্টা করেছিল। সেই কথা স্মরণ করে তৃণমূলে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, “আমাকে আটকানোর চেষ্টা করেছিল। ভেবেছিল আমি হয়তো পালিয়ে যাব। আমি তিন কিলোমিটার হেঁটে গিয়েছি। বীরবাহারা রেগে গিয়েছিল। আমি বলেছিলাম প্ররোচনায় পা দেবে না। আমরা শান্তির সঙ্গে কাজ করব। নিশ্চিন্তে ঘুমোবেন। কথা দিয়ে গেলাম, আপনার লক্ষ্মীর ভান্ডার কেউ বন্ধ করতে পারবে না।’’