শুধু তাঁর লোকসভা কেন্দ্রেই নয়, ডায়মন্ড হারবার তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) কাছে আবেগ। শনিবার, সেই আবেগে ভেসে রোড শো-র পরে স্থানীয় উদ্দেশ্যে সাংসদ তথা তৃণমূল প্রার্থী অভিষেকের বার্তা, ভোট চাইব না, ৪ লক্ষের ব্যবধান চাই। দেশের মধ্যে জয়ের ব্যবধানে একনম্বর হবে ডায়মন্ড হারবার।এদিন, জনপ্লাবনে ভেসে কপাটহাট থেকে এম বাজার রোড শো করেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ-প্রার্থী। এর পরেই সভা থেকে অভিষেক বলেন, আমি এখানে মানুষের হৃদয়ে লতায় পাতায় হাওয়ায় আছি। ১ জুন শুধু তৃণমূলকে ভোট নয়, যারা আমাকে আক্রমণ করে ডায়মন্ড হারবারকে অসম্মান করেছে, তাদের ল্যাজে গোবরে করতে হবে।
যে কোনও সমস্যায় নিজের কেন্দ্রের মানুষের পাশে থাকেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিরোধীদের জিজ্ঞেস করুন কোভিডের সময় কথায় ছিলেন? অপরিকল্পিত লক ডাউনে আমি এখানকার কোন মানুষকে অভুক্ত থাকতে দিইনি। কোভিডে রেকর্ড টেস্ট করিয়ে ডায়মন্ড হারবার মডেল তৈরি হয়েছে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সাফ জানান, যারা মানুষের পাশে নেই, তাদের এখানে জায়গা নেই। অভিষেকের কথায়, বাংলার ৪২ টি আসন এবং দেশের ৫৪৩ টি আসন মধ্যে ডায়মন্ড হারবার এক নম্বরে থাকবে। বিরোধীদের তুলোধনা করে অভিষেক বলেন, অধীর, শুভেন্দু, সেলিম সারা বছর আমার বাপ বাপান্ত করেন, কেন দাঁড়ালেন না এখানে? কারণ এটা তৃণমূলের দুর্জয় ঘাঁটি।
এরপরে, ডায়মন্ড হারবারে কাজের খতিয়ান দেন অভিষেক। জানান, ১০ বছরে ৫৫৮০ কোটি কাজ টাকার হয়েছে। বলেন, আমি নিঃশব্দ বিপ্লব বই প্রকাশ করে সবটা পুঙ্কানুপুঙ্ক হিসেব দিয়েছি। এখানকার মানুষের পাশে এই পরিবারের ছেলেটাই ছিল আছে, থাকবে। ফলতা মথুরাপুর দেশের মধ্যে সবথেকে বড় জলের প্রোজেক্ট আমি এনেছি। এক মাসে ৪৫ কোটি টাকার কাজ দিয়েছে। আগামী ১০ বছরে ১০ হাজার কোটি টাকার কাজ হবে। প্রতি বছর ১ কোটি টাকার কাজের লক্ষ্যমাত্রা রেখেছি।
অভিষেক বলেন, ৪১টি লোকসভা কেন্দ্রেই দলের হয়ে প্রচারে যেতে হচ্ছে। কিন্তু আগামী ২৩ থেকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত ডায়মন্ড হারবার ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় প্রচারে থাকব। অন্য কোথাও যাব না। আর ১ জুন ভোটের দিন আমি আমতলায় থাকব। ভোটের দিন আমি বুথে যাই না। তাতে মানুষের অসুবিধা হয়। ওই দিন মানুষ উৎসবের মেজাজে ভোট দেবেন।
বিজেপিকে কটাক্ষ করে অভিষেক বলেন, ভোট ঘোষণা হওয়ার একমাস পর প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি। কী অবস্থা ভাবুন! প্রার্থী খুঁজে না পেলে কি আমার দোষ? চাইলে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, ইডি-সিবিআই ডিরেক্টর যে কেউ প্রার্থী হতে পারেন আমার বিরুদ্ধে। কিন্তু আমাকে হারানো অত সহজ নয়। কারণ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এখানকার মানুষের হৃদয়ে আকাশে-বাতাসে রয়েছে। তাকে সরানো সহজ নয়। ঝড়ে- তুফানে, কোভিডের দুঃসহ সময়ে কোথায় ছিল বিজেপি-সিপিএম? মানুষের পাশে ছিল একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেস। আগামী দিনেও তৃণমূল কংগ্রেসই দুঃখে-বিপদে মানুষের পাশেই থাকবে।