মে (May) মাস পড়লেই যেন বুকের মধ্যে ধুকপুকানি শুরু হয় রাজ্যবাসীর। বারবার স্মৃতিতে ভেসে ওঠে ঘূর্নিঝড়ের (Storm) আশঙ্কা। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, দীর্ঘ ১৫ বছর আগে ২৫ মে দেশকে তছনছ করে দিয়েছিল ঘূর্ণিঝড় আয়লা। এরপর মাঝে ১০ বছরের বিরতি কাটিয়ে ২০১৯ সালের মে মাসে ওড়িশা হয়ে বাংলায় প্রবেশ করে ঘূর্ণিঝড় ফণী। সেকারণেই একের পর এক ঘূর্ণিঝড় আমফান, ইয়াস, অল্প সময়ে আছড়ে পড়ছে বঙ্গে। আর এই ভয়াবহ দূর্যোগের কারণে পড়ে বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাংলা। আর তাই মে মাস এলেই আশঙ্কার প্রহর গুনতে থাকে দেশ তথা রাজ্যবাসী। কিন্তু চলতি বছর কি হবে? তা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু জল্পনা।
রাজ্যবাসীর মনে একটাই প্রশ্ন সত্যিই কি বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় হতে পারে? বাংলায় সেই দুর্যোগের প্রভাব কতখানি প্রভাব ফেলতে পারে? বৃহস্পতিবার সেই সংক্রান্ত বিষয়ে বড়সড় ইঙ্গিত মৌসম ভবনের। আবহবিদরা জানিয়েছেন, একটি নয়, বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগর মিলিয়ে জোড়া নিম্নচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা। ২২ মে নাগাদ আরব সাগরে, ২৩ মে নাগাদ বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। সময় গড়ালেও নিম্নচাপ দফায় দফায় শক্তি বাড়াবে বলে জানানো হয়েছে। ২৪ মের পর গভীর নিম্নচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা। পরে নিম্নচাপ আরও শক্তি বাড়াতে পারে। যদিও এখনও পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির পূর্বাভাস দেয়নি আবহাওয়া দফতর। হাওয়া অফিসের জানিয়েছে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হলেও, আমফান বা ইয়াসের মতো শক্তিশালী হওয়ার আশঙ্কা নেই।
অন্যদিকে মৌসম ভবন জানিয়েছে, আন্দামান সাগর লাগোয়া দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর থেকে ক্রমশ উত্তর-উত্তরপূর্ব অভিমুখে এগোতে পারে নিম্নচাপ। শেষমেশ এই অভিমুখে এগোলে মায়ানমার বা লাগোয়া বাংলাদেশে যাওয়ার কথা শক্তিশালী নিম্নচাপের। সেক্ষেত্রে এ যাত্রায় বাংলার ভয় প্রায় নেই বললেই চলে।