তৃণমূলের শিক্ষা সেলের রাজভবন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার। রাজভবনের বেশ কিছুটা আগে মিছিল আটকাতে গার্ডরেল দিয়ে দেয় পুলিশ। মিছিল আটকা দেয় পুলিশ। কিন্তু সেই বাধা পেরিয়ে রাজভবনে পৌঁছনোর চেষ্টা করেন মিছিলকারীরা। যার নিট ফল, পুলিশের সঙ্গে প্রথমে বচসা এবং পরে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন তারা।তৃণমূলের শিক্ষা সেলের মিছিলে অংশ নেন শিক্ষক ও অধ্যাপক সংগঠনের সদস্যরা। শুক্রবার রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ থেকে মিছিল করেন তারা।এই ঘটনায় তৃণমূল শিক্ষাসেলের সভাপতি মহিদুল ইসলাম-সহ বেশ কয়েকজন অসুস্থও হয়ে পড়েন। পরিস্থিতি সামাল দিতে কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ।
ওয়েবকুপার অন্যতম সদস্য শিক্ষিকা শর্মিষ্ঠা দেবশর্মা বলেন, রাজ্যপাল রাজভবনের কর্মীরই শ্লীলতাহানি করেছেন। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগও উঠেছে। তিনি রাজ্যপাল পদের অসম্মান করেছেন। এই ধরনের রাজ্যপাল যত তাড়াতাড়ি বাংলা থেকে বিদায় নেবেন ততই রাজ্যের মঙ্গল। ওয়েবকুপার অন্যতম সদস্য মণিশঙ্কর মণ্ডল বলেন, রাজ্যপাল বলে কি সাত খুন মাফ নাকি! সংবিধানের সুরক্ষাকবচকে ব্যবহার করে উনি যা খুশি করতে পারেন না। অভিযোগের যথাযথ তদন্ত চাই এবং রাজ্যপালের পদত্যাগের দাবিতেই আমাদের এই কর্মসূচি।”
যদিও রাজভবনের কর্মীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। এমনকী ঘটনার দিনের রাজভবনের সিসিটিভি ফুটেজও প্রকাশ্যে এনেছিলেন। যা নিয়ে ফের বিতর্ক তৈরি হয়। বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠেছিল, রাজ্যপাল তাঁর চেম্বারের ছবি কেন সামনে আনলেন না।