সন্দেশখালি (Sandeshkhali) নিয়ে মোদি সরকারের (Modi Govt) অস্বস্তি যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। লোকসভা ভোটের (Loksabha Election) আবহে এবার নিজেদের পায়ের তলার মাটি হারিয়ে শান্ত সন্দেশখালিকে অশান্ত করার লক্ষ্যে এ বার সেখানেই অস্থায়ী শিবির বা ক্যাম্প অফিস (Camp Office) তৈরি করল সিবিআই (CBI)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, সন্দেশখালিতে থেকেই এবার তদন্তের কাজ চালাবেন করবেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা। ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের কাছে সন্দেশখালি নিয়ে যে অভিযোগগুলি জমা পড়েছে, সেগুলি খতিয়ে দেখার কাজ শুরু হবে ওই ক্যাম্পে। পাশাপাশি সেখানে অভিযোগকারীদের সঙ্গে সরাসরি কথাও বলবেন তদন্তকারীরা।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সন্দেশখালির মানুষের জমি দখল সংক্রান্ত অভিযোগ নেওয়ার জন্য এবার সেখানেই পৌঁছে যাচ্ছে সিবিআই। সূত্রের খবর, সিবিআই ক্যাম্পে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য ২ প্ল্যাটুন সিআরপিএফ মোতায়েন করবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তবে এর আগেই সন্দেশখালিতে ক্যাম্প তৈরি করে স্থানীয়দের অভিযোগের কথা শুনেছে রাজ্য পুলিশ। এবার সেই কাজ করতে চলেছে সিবিআই আধিকারিকরা। অভিযোগকারীদের সঙ্গে কথা বলার জন্য ইতিমধ্যেই কলকাতার সিবিআই দফতর থেকে কয়েক জন আধিকারিক সন্দেশখালি পৌঁছে গিয়েছেন বলে খবর। তবে লোকসভা ভোটের মধ্যে মোদি সরকারের এমন পদক্ষেপের বিরোধিতায় সরব বিরোধীরা। বিরোধীদের অভিযোগ, ভোটের মুখে কোনো ইস্যু না পেয়ে সন্দেশখালির মাটি আঁকড়ে নোংরা রাজনীতির খেলায় মেতে উঠেছে বিজেপি।
সিবিআইয় সূত্রে খবর, ক্যাম্প তৈরি হলেও ইমেলের মাধ্যমে অভিযোগ জমা নেওয়াও বন্ধ করছে না তারা। তবে গ্রামের মানুষ যাতে সহজে অভিযোগ জানাতে পারেন, তাই সেখানেই অস্থায়ী শিবির খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। গত ১০ এপ্রিল কলকাতা হাই কোর্ট নির্দেশ দেয়, সন্দেশখালির নারী নির্যাতন এবং জমি সংক্রান্ত মামলার তদন্ত করবে সিবিআই। অভিযোগ জানাতে অনলাইন পোর্টাল খুলতে বলা হয়। সেই সঙ্গে নির্দেশ দেওয়া হয়, সন্দেশখালির নিগৃহীতেরা কী ভাবে সিবিআইয়ের কাছে অভিযোগ জানাবেন, তা সন্দেশখালি জুড়ে প্রচার করতে হবে রাজ্যকে। এদিকে হাই কোর্টের নির্দেশের পরেই একাধিক বার সন্দেশখালিতে গিয়েছেন সিবিআই আধিকারিকেরা। অভিযোগকারীদের মধ্যে কয়েক জনের বাড়ি গিয়ে কথা বলা এবং জমি সংক্রান্ত নথিপত্রও খতিয়ে দেখেছেন তাঁরা।