দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজিরওয়াল, তাঁর ডেপুটি মণীশ সিসোদিয়া সহ একাধিক নেতা-মন্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। এবার গোটা আপ দলটাকেই ওই মামলায় যুক্ত করতে চলেছে ইডি। সেই আবহে গুরুত্বপূর্ণ রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। সম্প্রতি শীর্ষ আলাফতে হওয়া এক মামলায় সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট বলে দিয়েছে, আদালতে মামলা গ্রহণ করার পর ইডি অর্থ তছরুপ ধারার ১৯ এর অধীনে কোনও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারবে না।

এ প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, ইডি যদি এই ধরনের কোনও অভিযুক্তকে হেফাজত চায়, তবে তাদের বিশেষ আদালতে আবেদন করতে হবে। সেক্ষেত্রে অভিযুক্তের আইনের ৪৫ ধারা অনুযায়ী জামিন চেয়ে জামিনের শর্ত পূরণ করার প্রয়োজন নেই।

সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, এই আইনের ৪৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী জামিন পাওয়া অত্যন্ত কঠিন। কারণ এক্ষেত্রে বিচারককে ধরে নিতে হয় অভিযুক্ত এই অপরাধ করেননি এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের অপরাধ তিনি করবেন না। যা অত্যন্ত কঠিন একটি বিষয়। জনৈক তারসেম লাল বনাম ইডি মামলায় বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভূঁইয়ার বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে।

ওই রায়ে বলা হয়েছে, “সংশ্লিষ্ট আইনের ৪৪ ধারায় কোনও একটি অভিযোগের ভিত্তিতে পিএমএলএ-এর ধারা ৪ এর অধীনে শাস্তিযোগ্য অপরাধের স্বীকৃতি নেওয়ার পরে, অভিযুক্ত হিসাবে দেখানো ব্যক্তিকে ১৯ নম্বর ধারায় গ্রেফতার করার ক্ষমতা ইডির নেই।” আরও বলা হয়েছে, অভিযোগ দায়ের না হওয়া পর্যন্ত ইডি যদি অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে না করে থাকে, তবে বিশেষ আদালত মামলায় স্বীকৃতি নেওয়ার সময় অভিযুক্তকে সমন জারি করতে পারবে। ওয়ারেন্ট নয়। আসামি জামিনে থাকলেও সমন জারি করতে হবে।
আরও পড়ুন- লোকসভা ভোটের মাঝেই বাংলা-পাঞ্জাবে ওবিসি কোটা বাড়ানোর সুপারিশ কেন্দ্রীয় কমিশনের








































































































































