ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ! বড়সড় শাস্তির নিদান নির্বাচন কমিশনের

0
3

ইভিএমে (EVM) কারচুপির অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হলে হতে পারে হাজতবাস‌! লোকসভা ভোটের (Loksabha Election) আবহে সেকথাই মনে করিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)। কমিশন সূত্রে খবর, বরাবর এই সমস্ত অভিযোগ আটকে থাকে শুধু প্রচারের মঞ্চেই। সরাসরি অভিযোগ জানিয়ে চ্যালেঞ্জ করার রাস্তা খোলা থাকলেও, সেই পথে হাঁটেন না প্রায় কেউই। শুধু তাই নয়, কারচুপির অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হলে জরিমানা, এমনকি জেল পর্যন্ত হতে পারে, তা-ও মনে করিয়ে দিয়েছে কমিশন।

ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ তুলে সম্প্রতি বারবার সরব হয়েছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দাবি করেছেন, রাজ্যের একটি ভোট-কেন্দ্রে জোড়াফুলে বোতাম টিপলেও ভোট নাকি চলে যাচ্ছে পদ্মে। তবে কমিশনের বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাজনৈতিকভাবে যে কেউ অভিযোগের আঙুল তুলতে পারেন। তা তেমন গা করেন না তাঁরা। কমিশন আলাদা ভাবে কোনও পদক্ষেপও করে না। কিন্তু সেই অভিযোগের আঙুল তুলে সরাসরি কমিশনকে চ্যালেঞ্জ করলে, তখন কিন্তু সেখানে প্রমাণের বিষয়টি এসেই যায়।

আর সে ক্ষেত্রে ৪৯এমএ আইন প্রয়োগ করে অভিযোগকারী চ্যালেঞ্জ করলে, তাঁকে লিখিত বয়ান ভর্তি করে অভিযোগ দায়ের করতে হয়। অভিযোগ প্রমাণিত না হলে, শাস্তির বিধান মেনে নেওয়ার কথাও জানাতে হয় সেখানে। এর পরে যে ভোট-কেন্দ্র বা বুথের ইভিএম নিয়ে অভিযোগ, সেই ইভিএমে ফের ভোট দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয় অভিযোগকারীকে। সেই সময়ে প্রত্যেক দলের এজেন্টকে সাক্ষী হিসাবে হাজির থাকতে হয়। কিন্তু তখন তাঁদের সামনে যে ভোটদান হয়, তার সঙ্গে অভিযোগ না মিললে অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৭৭ ধারার আওতায় শাস্তির সুপারিশ করতে পারে কমিশন। সে ক্ষেত্রে ছ’মাসের জেল অথবা জরিমানা হতে পারে। অথবা দু’য়ের বিধানই থাকতে পারে। উল্লেখ্য, চলতি ভোট থেকে একশো শতাংশ ইভিএম-ভিভিপ্যাটের ব্যবহার শুরু হয়েছে সারা দেশে।