“কোড অফ কন্ডাক্ট ভাঙছেন”! মোদি আর কমিশনকে একযোগে তুলোধোনা মমতার

0
1

নির্বাচন প্রক্রিয়ার শুরু থেকে নির্বাচন কমিশনকে নিজেদের দায়িত্ব পালনের আর্জি জানিয়ে এসেছে দেশের বিরোধী দলগুলি, যার নেতৃত্বে ছিল তৃণমূল। তারপরেও নরেন্দ্র মোদির নির্বাচনী আচরণ বিধি ভাঙার অভিযোগ পেয়েও ঠুঁটো জগন্নাথ কমিশন। চুঁচুড়ার নির্বাচনী জনসভা থেকে এবার নরেন্দ্র মোদির ‘মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট’ ভাঙা নিয়ে একাধারে প্রধানমন্ত্রী ও নির্বাচন কমিশনকে তুলোধোনা করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্যে মোদির দেওয়া প্রকল্পের প্রতিশ্রুতির নির্দিষ্ট উদাহরণ টেনে মঞ্চ থেকে মোদি ও কমিশনকে নিশানা করেন মমতা।

নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্যে ১৪ এপ্রিল পয়লা বৈশাখ নিয়ে বলতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের আওতায় সত্তরোর্ধ্ব সব ব্যক্তিকে নিয়ে আসার। সেই প্রসঙ্গ টেনেই মমতা প্রশ্ন তোলেন, “নির্বাচনের সময় এই কথা কেন বলছেন? আগে বলেননি কেন? বলার থাকলে আগে করেননি কেন?” সেখানেই তিনি স্মরণ করিয়ে দেন তৃণমূল রাজ্যে যে প্রকল্পের কথা পরিকল্পনা করেছে তা নির্বাচনী আচরণ বিধি লাগু হওয়ার আগেই করেছে।

সেই সঙ্গে তিনি দাবি করেন, “নির্বাচনের সময় বললে সেটা কোড অফ কন্ডাক্ট ভাঙা হয়। মোদিবাবু আপনি কোড অফ কন্ডাক্ট ভাঙছেন। আর ইলেকশন কমিশন একটা পাপেট, মানে কলের পুতুল। মোদি ঘোরাচ্ছে আর ঘুরছে।”

নির্বাচন কমিশন একমাত্র বিজেপির নির্দেশই যে অনুসরণ করে, তা এর আগে অনেকবারই দাবি করেছেন তৃণমূল নেত্রী। মোদির নির্বাচনী আচরণ বিধি ভাঙার পরেও কমিশনের নীরবতা নিয়ে বলতে গিয়ে ফের পাপেট কমিশনকে তাঁদের ভুল সিদ্ধান্ত চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন মমতা। তিনি দাবি করেন, “আড়াই মাস ধরে নির্বাচন। দেশে বুঝি কাজ নেই? সব উন্নয়নের কাজ বন্ধ করা আছে। কোনও উন্নয়ন হচ্ছে না। নির্বাচন করতে গিয়ে পাঁচ বছরে এক বছর চলে যায়, তাহলে চারবছরে সময়টা আমরা কোথায় পাব মানুষের কাজ করার জন্য।”

সেখানেই তিনি ফের উল্লেখ করেন নির্বাচন কমিশনার অরুণ গোয়েলের পদত্যাগের ঘটনা। বিজেপিকে সাহায্য করতেই যে কমিশন তৎপর, সেই অভিযোগ তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, “একবার মানুষের কথা ভেবেছেন। শুধু মোদিবাবুকে সুযোগ দেওয়ার জন্য। আপনারা মনে রাখবেন, একজন ইলেকশন কমিশনার ইস্তফা দিয়ে চলে গিয়েছিল এই প্রতিবাদে, বাংলার সঙ্গে অন্যায় দেওয়ার জন্য।”