২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন মোদির মন্ত্রীসভার সদস্য। শেষ পাঁচবছর তাঁকে কোনও মন্ত্রীত্বই দেওয়া হয়নি। আর এই লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থীই করা হয়নি প্রাক্তন বিমান পরিবহন প্রতিমন্ত্রী জয়ন্ত সিনহাকে। এবার কংগ্রেসের নির্বাচনী জনসভায় তাঁর ছেলে আশির সিনহা সটান গিয়ে যোগ দিলেন কংগ্রেসে। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই খবর সত্য বলে দাবি করা হলেও সিনহা পরিবার এর সত্যতা মেনে নেয়নি।
ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগ আসনটি বরবার সিনহা পরিবারের জন্য সুখবর এনে দিয়েছে। জনতা দল ঘুরে বিজেপিতে যোগ দেওয়া যশবন্ত সিনহা ১৯৯৬ সাল থেকে লোকসভার সাংসদ। বর্তমানে তিনি তৃণমূলে যোগ দিলেও তাঁর ছেলে জয়ন্ত সিনহা বিজেপিতেই রয়েছেন। ২০১৯ সালে পর্যন্ত মন্ত্রীত্বতেও ছিলেন। তবে এবার সেই কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী করেছে মণীশ জয়সওয়ালকে। আর তারপরেই লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের প্রচার মঞ্চে দেখা গেল তাঁকে।
ইতিমধ্যেই ঝাড়খণ্ডের বিজেপি সাংসদ নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন তিনি বিজেপির নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন জে পি নাড্ডার কাছে। সম্ভবত সেই কারণেই তাঁকে প্রার্থী করেনি বিজেপি। অন্যদিকে কংগ্রেস এই কেন্দ্রে যাঁকে প্রার্থী করেছে তিনি সদ্য বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেওয়া জে পি প্যাটেল। তারপরই কংগ্রেসের মঞ্চে আশির সিনহা। এমনিতেই ঝাড়খণ্ডে জেএমএম-এর দাপটে বিজেপির কোনঠাসা অবস্থা। জোটের শক্তিতে কংগ্রেসও এবার এই রাজ্য থেকে আসন বাড়ানোয় প্রত্যাশী। তবে বিজেপির ঘর যে ঝাড়খণ্ডে ভাঙছে তা ২০ মে নির্বাচনের আগেই প্রমাণ দিচ্ছে চতুর্থ দফার নির্বাচনের দিন আশির সিনহার কংগ্রেসে যোগদানে।