রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি-ধর্ষণের অভিযোগ! বিচার চেয়ে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি বাংলা পক্ষর

0
2

বাংলার রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে একের পর এক শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের অভিযোগ! যা রাজ্যপালের মতো সাংবিধানিক প্রধানের সম্মানীয় ও গরিমার পদকে কালিমালিপ্ত করছে। এবার আসরে অরাজনৈতিক সংগঠন বাংলা পক্ষ! তারা মনে করছে, এমন অভিযোগের সত্যতা থাকলেও থাকতে পারে। রাজ্যপাল বলে আইনের ফাঁক দিয়ে যেন বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়া না হয়। তাই বিষয়টি নিয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়ে এবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি দিল বাঙালির স্বার্থে কথা বলা এই সংগঠন।

প্রথমে রাজভবনের মধ্যে রাজভবনেরই কর্মীকে শ্লীলতাহানি এবং পরবর্তীতে এক নৃত্যশিল্পীকে পাঁচতারা হোটেলে ধর্ষণের মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে। তিনি যেহেতু রাজ্যপালের পদে আছেন, তাই তাঁর সাংবিধানিক রক্ষাকবচ আছে। সংবিধানের ৩৬১ নং আর্টিকেল অনুযায়ী তিনি রক্ষাকবচ পান৷ রাজ্যপাল থাকাকালীন পুলিশ, কোনও তদন্তকারী সংস্থা বা কোনও কোর্ট তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে না।

কিন্তু অভিযোগ যাঁরা করেছে, সেই সব বাঙালি মহিলাদেরও বিচার পাওয়ার অধিকার আছে। রাজ্যপাল পদকে অপব্যবহার করে কেউ কি ধর্ষণ বা শ্লীলতাহানির মতো নারকীয় ঘটনা ঘটাতে পারে? অভিযোগের তদন্ত হওয়া উচিত নয় কি? অভিযোগ মিথ্যা হলে উনি সসম্মানে নিজের পদে ফিরে আসুন। কিন্তু সত্য বা মিথ্যা যাচাইয়ের আগে পর্যন্ত এই পদে থাকার অধিকার সি ভি আনন্দ বোসের আছে? রাজ্যপাল সম্মানের পদ, সাংবিধানিক পদ। তাঁকে দেখেই তো শিখবে সবাই।

 

তাই তদন্ত যাতে হয়, যাতে নির্যাতিতারা বিচার পান এবং তদন্ত সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত মাননীয় রাজ্যপালকে সাময়িক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়ে ভারত রাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রধান, যিনি রাজ্যপাল নিয়োগ করেন, সেই রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দিল ভারতে বাঙালির জাতীয় সংগঠন বাংলা পক্ষ। সংগঠনের তরফে সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি এই চিঠি লিখেছেন। বাংলা পক্ষ মনে করছে, দেশের সাংবিধানিক প্রধান রাষ্ট্রপতির মহানুভবতা ও বিচারেত উপর আস্থা রাখেন। তাই তিনি যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন।