“কোটশিলা চন্দ্রপুরা দেখায় যেমন শহর পারা/পাহাড় কাটে দিলেক লেবেল করে/ ইবারে চলিবেক রেলগাড়ি”- ভালো আছে পুরুলিয়া। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে সেখানে। সেই পুরুলিয়া লোকসভা কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থীর প্রচারে বাগমুন্ডির সভায় জনসমুদ্র দেখে অভিভূত তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Bandyopadhyay)। মঙ্গলবার সভায় বক্তব্য রাখতে উঠেই প্রথমেই অভিষেক বললেন, যত লোক এই সভায় রয়েছে তার অনেক বেশি রয়েছে বাইরে। অর্থাৎ সভাস্থলে সবার জায়গা হয়নি এত ভিড়। হেলিপ্যাড থিক থিক করছে মানুষ। অভিষেকের কথায়, যতজন উপস্থিত তারা সবাই যদি তৃণমূল (TMC) প্রার্থী শান্তিরাম মাহাতর পক্ষে ভোট দেন, তাহলে বিজেপির (BJP) দুনম্বরি নেতার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়ে যাবে।
মুখ্যমন্ত্রী যে উন্নয়ন করেছেন, তাতে পুরুলিয়ায় দুর্গম এলাকা বলে কিছু নেই। রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতাই পুরুলিয়া থেকে কোটশিলা রেলপথটিকে ডবল লাইনে পরিণত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এতদিনে তার কাজ হচ্ছে। এদিন দলীয় প্রার্থী শান্তিরাম মাহাতর সমর্থনে করা অভিষেকের জনসভা পরিণত হয়েছিল জনসমুদ্রে। সভাস্থল তো বটেই তার আশপাশের এলাকাতেও তিল ধারণের জায়গা ছিল না। পুরুলিয়া লোকসভার সাতটি বিধানসভা থেকে মানুষের এসেছিলেন ভিড় করে। ধামসা, মাদোলের বোলে ঝুমুর গানে প্রিয়নেতাকে স্বাগত জানাই পুরুলিয়াবাসী।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই গরমের মধ্যেও যাঁরা দুপুরে এই সভায় উপস্থিত হয়েছেন, তাঁরা ভাষণ শুনতে, বা নেতাদের দেখতে আসেননি, তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়ে এসেছেন, বিজেপির অনুন্নয়নের জবাব দিতে লোকসভা নির্বাচনে ৪নম্বর বোতাম টিপে তৃণমূল প্রার্থী শান্তিরাম মাহাতকে জেতাবেন। অভিষেক যেখানেই রোড শো করছেন, সেখানেই জনপ্লাবন। জনসভাতেও উপচেয পড়ছে ভিড়। পুরুলিয়া আসনটি গতবার জিতেছিল বিজেপি। তবে এদিনের সভার ভিড় তৃণমূল নেতৃত্বকে নিঃসন্দেহে আশা যোগাচ্ছে।
আরও পড়ুন- ঠিক কী ঘটেছিল গোয়েঙ্কা-রাহুলের মধ্যে, ফাঁস করলেন লখনউ দলের কোচ