সন্দেশখালি চক্রান্ত: আত্মসমর্পণ করতে চাওয়া মাম্পির জেল হেফাজত, রক্ষাকবচ গঙ্গাধরের

0
2

সন্দেশখালি নিয়ে এবার আদালতে মুখ পুড়ল বিজেপির। আগাম জামিনের আবেদন করতে আসা সন্দেশখালির বিজেপি নেত্রী পিয়ালী দাস ওরফে মাম্পিকে জেলে পাঠালো আদালত। সন্দেশখালির মহিলাদের জোর করে অথবা ভুল বুঝিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত মাম্পি দাস। সেই অভিযোগে এবার তাঁকে জেল হেফাজতের নির্দেশ বসিরহাট আদালতের। তবে এই ঘটনায় শুধু স্থানীয় বিজেপি নেতাদের শাস্তি দিয়ে আসল অপরাধীদের লুকানো সম্ভব হবে না, দাবি করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি “সত্যের জয় আছে।”

সন্দেশখালি নিয়ে একাধিক ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরে এলাকার মহিলারা প্রকাশ্যে এসেছেন। একাধিক মহিলার মুখে শোনা গিয়েছে মাম্পি দাসের নাম। কেউ অভিযোগ করেছেন একশো দিনের কাজের টাকার দাবি জানাতে মাম্পি তাঁদের ভুয়ো অভিযোগ করার পথ দেখায়। কেউ অভিযোগ করেন সাদা কাগজে সই করিয়ে নেয় মাম্পি। সন্দেশখালি থানায় নিজের ভুয়ো অভিযোগ প্রত্যাহার করতে গিয়ে এক মহিলা লিখিত অভিযোগ জানান তিনি একশো দিনের কাজ নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। সেই বয়ান বদলে ভুয়ো ধর্ষণের অভিযোগ দেওয়া হয় বলে তিনি সন্দেশখালি থানায় অভিযোগ জানান।

সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মাম্পি দাসের বাড়িতে নোটিশ পাঠায় পুলিশ। কিন্তু তারপর থেকেই ফেরার হয়ে যান মাম্পি। মঙ্গলবার বসিরহাট আদালতে আত্মসমর্পণ করে আগাম জামিনের আবেদন জানান তিনি। কিন্তু মামলার গুরুত্ব বুঝে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

তবে এদিন অন্য একটি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে রক্ষাকবচ পেলেন সন্দেশখালির বিজেপি বুথ সভাপতি গঙ্গাধর কয়াল। তাঁকে নিয়ে যে ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে তার ভিত্তিতে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করে পুলিশ। তার বিরোধিতায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন গঙ্গাধর। সেই মামলার শুনানিতে তাঁর বিরুদ্ধে এখনই কোনও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না, পর্যবেক্ষণে জানায় হাইকোর্ট।

বিজেপির স্থানীয় এই নেতাদের কুকীর্তির শাস্তির থেকেও বাংলাকে বদনাম করার চক্রান্তের মদতদাতাদের শাস্তির দাবি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেন, “মা-বোনেদের না জানিয়ে যা তা লিখিয়ে নিয়েছ। যেটা তারা আজ বলছে এটা আমাদের নামে লেখা হয়েছে, আমাদের বলেছে অন্য কথা। এর জন্য কার শাস্তি হওয়া উচিত? শুধু লোকাল মণ্ডল প্রেসিডেন্টের শাস্তি পেলে হবে? যারা মদত দিয়েছে, মদতদাতা, যারা বলেছে বোম চাই, রিভলভার চাই, টাকা চাই। আর গ্যারান্টিবাবু বললেন পুরো দেশে সন্দেশ রটে গিয়েছে যে সন্দেশখালিতে কী হচ্ছে। আমি বললাম সত্যের জয় আছে। মিথ্যে চিরকাল স্থায়ী হয় না। তোমার মিথ্যে বেরিয়ে যাবে।”