প্রবল চাপে শেষে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’! শাহর টাকা বাড়ানোর টোপকে তোপ তৃণমূলের

0
2

ধর্মের তাস খেলেও লোকসভা নির্বাচনে সুবিধা করতে পারছে না বিজেপি। এবার তৃণমূলের প্রকল্প ধার করে প্রচার করতে হচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। আমতার মঞ্চে দাঁড়িয়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে ১০০ টাকা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে শুধুই নির্বাচনের বিধি ভাঙেননি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, রাজ্যে তৃণমূলের উন্নয়নকেই কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন।

তৃণমূল সরকারের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার গোটা দেশের কাছে নজির তৈরি করেছে। বিজেপি শাসিত রাজ্যও এই প্রকল্প চালু করেছে নিজেদের রাজ্যে। কিন্তু বাংলায় বারবার বিজেপি নেতারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের নিন্দায় সরব হয়েছেন। এমনকি কোচবিহারের বিজেপি নেত্রী রাজ্যের ক্ষমতায় এলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন। এরপরই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সেই বক্তব্য গোটা রাজ্যের মহিলাদের সামনে তুলে ধরেন। বিজেপি নেত্রীর এই হুঁশিয়ারিতে আতঙ্কিত হন গোটা রাজ্যের মহিলারা।

নির্বাচনের প্রথম চার দফায় ভরাডুবি আবশ্যম্ভাবী দেখে এবার সেই মহিলা ভোট টানতে নতুন পন্থা নিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মঙ্গলবার উলুবেড়িয়া কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অরুণ উদয় পাল চৌধুরির সমর্থনে সভা করেন অমিত শাহ। সেখানে তিনি দাবি করেন, “আমি আপনাদের বলে যাচ্ছি, বিজেপি কোনও প্রকল্প বন্ধ করবে না। আমরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে ১০০ টাকা বাড়িয়ে দিদিদের পাঠিয়ে দেব।”

এর আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার চ্যালেঞ্জ করেছিলেন বিজেপি শাসিত রাজ্যে আগে বাংলার একই মর্যাদার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালু করে দেখাক। কিন্তু বিজেপির কোনও নেতা আজও সেই চ্যালেঞ্জ নিতে সাহস দেখাননি। সেখানে বাংলায় এসে অমিত শাহর মুখে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের নাম, তার উপর সেই প্রকল্পে টাকা বাড়ানোর টোপ দিচ্ছেন শাহ। বাংলায় উন্নয়নের টাকা আটকে শেষে ১০০ টাকা বাড়িয়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টোপ নিয়ে তোপ দাগতে ছাড়েননি তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। তিনি লেখেন, “দুমাস ধরে একটিও কথা না বলে এখন এই! একশো দিনের কাজে কী কেন্দ্রের সরকার ১ টাকাও দিয়েছে? বা ২০২১ সালে বাংলা থেকে বিতাড়নের পরে আবাস যোজনায় ১ টাকা? কেন্দ্রের সরকারের বাংলার কাছে ঋণ ১.৬ লক্ষ কোটির বেশি এবং অমিত শাহ বাংলার মহিলাদের অপমানে আরও তিক্ততা তৈরি করলেন ১০০ টাকা ঘুষ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে। লজ্জা।”