চলল কামড়-লাথি! একা হাতেই লড়াই গৃহবধূর, ডাকাতি ছেড়ে চম্পট ডাকাত দলের

0
1

নারী শক্তি রুখে দাঁড়ালে অসম্ভব যে সম্ভব হয়, তা ফের একবার প্রমাণ করলেন আলিপুরদুয়ার জেলার পলাশবাড়ি বাজারের বাসিন্দা প্রবীনা কল্পনা ভূঁইয়া। উপস্থিত বুদ্ধির দ্বারা ঘরে প্রবেশ করা ডাকাতকে কাবু করে ডাকাতি রুখে দিয়ে জেলায় এখনো চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছেন তিনি। ডাকাত তাড়ানোর পাশাপাশি বাঁচিয়েছেন নিজের পরিবার সম্পদও।

ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ার জেলার এক নম্বর ব্লকের অন্তর্গত পলাশবাড়ীতে রবিবার ভোর সাড়ে তিনটা নাগাদ। এদিন একদল ডাকাত ভূঁইয়া বাড়ির সদর দরজা ভেঙ্গে বাড়িতে প্রবেশ করে। বাড়ির একটি ঘর থেকে কিছু টাকা পয়সা ও মোবাইল ফোন নিয়ে পরে প্রবেশ করে গৃহকত্রী কল্পনা ভূঁইয়ার কক্ষে । সেখানে একাই ঘুমোছিলেন কল্পনা দেবী। এক ডাকাত তার মুখ চেপে ধরে বাড়ির আলমারির লকারের চাবি দিতে বলে। তখন কল্পনা দেবীর সঙ্গে ডাকাতের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। ডাকাত বিছানা থেকে বালিশ নিয়ে কল্পনা দেবীর মুখে চাপা দেবার চেষ্টা করতেই, কল্পনা দেবী ডাকাতের হাতে প্রানপনে কামড় বসিয়ে দেন, এবং ডাকাত হাত কিছুটা আলগা করতেই সজোরে লাথি মারেন তাকে। বিছানা থেকে ছিটকে পড়ে ডাকাত। এর পরে চিৎকার করেন কল্পনা দেবী। বেগতিক দেখে ডাকাতি ফেলে পালিয়ে যায় ডাকাত দল।

জানা যায় বাড়ির প্রবেশদ্বার শাবল দিয়ে ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করেছিল ডাকাত দল। ঢুকে সোজা কল্পনা দেবীর ছেলের ঘরে ঢুকে মোবাইল ফোন ও কিছু টাকা নেয়। তারপর সেই ঘর থেকে বেরিয়ে এসে বাইরে দিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। ঠিক একইভাবে পরপর দুটি ঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে দেয় ডাকাত দল। পরে কল্পনা দেবীর ঘরে ঢুকে তার গলা থেকে মালা কেড়ে নেয়। এর পর তাকে আক্রমণ করতেই প্রতিরোধ গড়ে তোলেন কল্পনা দেবী। কল্পনা দেবীর মেয়ে মলি ভূঁইয়া জানান, আমার ৫২ বছর বয়সী মা একাই ঘুমোছিলেন ওই ঘরে, মায়ের উপস্থিত বুদ্ধি এবং প্রতিরোধের মুখে ডাকাত দল পালিয়ে যায়। মায়ের কারণে অনেক বড় বিপদ থেকে আমরা রক্ষা পেয়েছি আজ।

আরও পড়ুন- ভোটের আগের রাতে কেতুগ্রামে খুন তৃণমূল কর্মী