দীর্ঘ ৩৪ বছর বাংলায় লাগাতার হিংসা ও রক্তপাতের রাজনীতি করেও ক্ষান্ত হয়নি। কেতুগ্ৰামে (Ketugram) তৃণমূল (TMC) কর্মীকে নৃশংস খুনের ঘটনায় সিপিএমের (CPIM) ‘হার্মাদ বাহিনী’কে কাঠগড়ায় তুলে বামেদের একহাত নিল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। রবিবার রাতে তৃণমূল কর্মী মিন্টু শেখকে (Mintu Seikh) খুনের ঘটনায় রীতিমতো অশান্ত কেতুগ্ৰাম। সোমবার সেখানে চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণ চলছে। আর তার আগেই এমন ঘটনায় ঘৃণ্য রাজনীতির অভিযোগে সরব তৃণমূল।
এদিন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্ৰেসের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করা হয়, রবিবার রাতে মিন্টু শেখ নির্বাচনের কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন। ফেরার পথে তাঁকে প্রথমে বাধা দেওয়া হয়, পরে নৃশংসভাবে কুপিয়ে ও বোমা মেরে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের আরও অভিযোগ, বাংলা থেকে মুছে যাওয়ার পর সিপিআই(এম) এখন বিজেপির ক্ষমতাবলে লাগাতার বাংলায় অশান্তি পাকাচ্ছে। মানুষকে রীতিমতো ভয় দেখিয়ে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চায় তারা। নির্বাচন কমিশনের কাছে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানিয়েছে তৃণমূল।
Taking a page out of their 34-year reign of violence and bloodshed, CPI(M) harmads brutally killed our party worker in Ketugram.
Mintu Sheikh was on his way home after election duties when he was stopped, brutally hacked and bombed to death.
After being wiped out of Bengal,… pic.twitter.com/M8inDT5WpE
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) May 13, 2024
ভোটের আগের দিন রাতে বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত কেতুগ্রাম। সেই এলাকারই চেঁচুড়ি গ্রামের বাসিন্দা মিন্টু শেখ (৫০) রবিবার রাতে দলের কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় তাঁকে লক্ষ্য করে পর পর তিনটি বোমা ছোড়া হয়। বোমার ঘায়ে জখম হয়ে লুটিয়ে পড়েন মিন্টু। তার পর তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে বেশ কয়েকবার কোপানো হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় ইতিমধ্যেই ১০ জনের নামে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্যদিকে ইতিমধ্যে পুলিশের প্রাথমিক রিপোর্ট পৌঁছেছে কমিশনের দফতরে। সূত্রের খবর, পুরনো শত্রুতার কথা উল্লেখ ওই রিপোর্টে। ভোটের আগে এই খুনকে কেন্দ্র করে চাপা উত্তেজনা রয়েছে গোটা এলাকায়।