একের পর এক পর্দাফাঁস। সন্দেশখালির বিজেপি মণ্ডল সভাপতির বিজেপি উচ্চ নেতৃত্বের সঙ্গে চক্রান্ত করে গোটা বাংলাকে বদনাম কীভাবে করা হয়েছে, সেই ছবি শনিবার ফুটে উঠতেই রবিবার মাঠে নামল বিজেপির মহিলা অ্যাকশন স্কোয়াড। প্রথমেই সন্দেশখালি থানার বাইরে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করে নজর ঘোরানোর চেষ্টা চলে। এরপরই তৃণমূল কর্মীর বাড়ি ঢুকে টেনে বের করে এনে বেধড়ক মারধর করা হয়। নেতৃত্বে ছিলেন বসিরহাট কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র ও বিজেপি নেত্রী অর্চনা মজুমদার। সন্দেশখালিতে পায়ের তলার মাটি সরে যাচ্ছে বুঝতে পেরেই ঝাঁপিয়ে পড়েছে মিথ্যে অভিযোগের নেতৃত্বে থাকা বিজেপি নেত্রীরা।
গোপণ ভিডিও-তে স্পষ্ট দেখা গিয়েছে ৭২ জন মহিলাকে বিদ্রোহী সাজাতে ২ হাজারের বেশি করে টাকা দেওয়া হয়েছে বলে জানাচ্ছেন গঙ্গাধর। এছাড়া প্রত্যেক দিনের খরচের জন্য নগদ দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে মদ, গুলি, বোমা, পিস্তল, বাইকের তেল, মোবাইল ফোন রিচার্জের খরচ – সবেরই হিসাব রয়েছে। আর এই সত্যি সামনে চলে আসতেই সন্দেশখালি থেকে পায়ের তলার মাটি যে বিজেপির সরে গিয়েছে তার প্রমাণ সকাল থেকে থানার বাইরে মহিলাদের অসভ্যতামি।
বিজেপির পক্ষ থেকে রটিয়ে দেওয়া হয় তৃণমূল নেতারা মহিলাদের অপহরণ করবেন। ভাইরাল ভিডিও ফাঁস করার জন্য চক্রান্ত করা হয়েছে বলেও গুজব ছড়ানো হয়। যদিও চক্রান্ত করে বিজেপি নেতা গঙ্গাধর কয়াল কীভাবে অস্ত্র কেনার কথা ফাঁস করলেন তার কোনও ব্যাখ্যা দিতে পারেনি বিজেপি। কিন্তু সন্দেশখালিতে গুজব রটিয়ে আগুনে ঘি দেওয়ার কাজ ভালোভাবেই করে তারা। রটিয়ে দেওয়া হয় স্থানীয় তৃণমূল নেতা মিথ্যা বয়ান নেওয়ার জন্য কোনও এক মহিলাকে অপহরণ করবেন।
তবে পরিস্থিতি লাগামছাড়া হয়ে যায় যখন মহিলারা তৃণমূল নেতা দিলীপ মল্লিকের বাড়ি লক্ষ্য করে তেড়ে যায়। দিলীপ মল্লিকের উপর অপহরণ করার আশঙ্কার অভিযোগ তোলেন তাঁরা। বাড়ি থেকে বের করে এনে তাঁকে মারধর করা হয়। সেই সঙ্গে তাতান গায়েন নামে এক তৃণমূল কর্মীকেও বেধড়ক মারধর করা হয়। বিজেপি নেত্রী অর্চনা মজুমদারের সঙ্গে যে সংবাদ মাধ্যমের কর্মীরা ছিলেন, তাঁদের সামনেই চড় মারা হয় এক তৃণমূল কর্মীকে। সেই বিদ্রোহী সাজানো ৭২ জনের বাহিনী সত্য প্রকাশিত হয়ে যাওয়ার আক্রোশ ঢেলে দেন তৃণমূল কর্মীদের উপর। এমনকি বিধায়ক সুকুমার মাহাতোর সামনেই চলে তাণ্ডব। তাঁর নিরাপত্তার কর্মীরা কোনওমতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।