একের পর এক বিরোধী দলের নেতাদের কোনও না কোনও ভাবে চাপে রেখে নির্বাচনের ফায়দা তোলার পন্থা থেকে যে বিজেপি একচুলও সরে আসেনি শনিবার ফের তা একবার প্রমাণিত। রাজ্যে বিজেপি নেতাদের গাড়ি থেকে বারাবর টাকা উদ্ধার হয়েছে। বিরোধীদের ক্ষমতাসীন অনেক রাজ্যেই সেই নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় এজেন্সি বা নির্বাচন কমিশনের নজর শুধুই বিরোধী দলের নেতাদের দিকে। এবার কংগ্রেস সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের হেলিকপ্টারে চালানো হল তল্লাশি। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণাধীন এই এজেন্সি আদৌ বিজেপির উপর পদক্ষেপ নিতে পারবে না।
বিরোধীদের মধ্যে সর্বপ্রথম বিজেপির নিশানায় ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হেলিকপ্টারে তল্লাশি চালানো হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় ট্রায়াল রান। আয়কর দফতরের এই পদক্ষেপকে পরে ভুল বোঝাবুঝি বলে স্বীকার করা হলেও বেহালা ফ্লাইং ক্লাবে জারি রাখা হয় নজরদারি। এরপর কেরালায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর কপ্টারেও তল্লাশি চালানো হয়। শনিবার ফের তল্লাশি চালানো হয় কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের হেলিকপ্টারে।
বিহারের সমস্তিপুর, পাটনা, মুজফ্ফরপুরে একের পর এক সভা ছিল মল্লিকার্জুন খাড়গের। সমস্তিপুরের সভা করছিলেন যখন খাড়গে সেই সময় নির্বাচন কমিশনের অধিকারিকরা তল্লাশি চালান। তল্লাশিতে কিছু না পেলেও বিরোধী দলের নেতাকে অপদস্থ করার কোনও সুযোগই ছাড়েনি কমিশন। বারবার এভাবেই বিরোধী নেতাদের নিচু দেখানোর কোনও সুযোগ ছাড়ছে না বিজেপি। আদর্শ আচরণ বিধি জারি থাকার অজুহাত দেখিয়ে প্রায় দুমাশ ধরে এভাবেই একনায়কতন্ত্র চলবে বিজেপির।