শুধু বাংলার বিজেপি নেতারা না, দিল্লির বিজেপি নেতাদেরও সন্দেশখালির মহিলাদের সম্মানহানির পিছনে হাত রয়েছে বলে সরাসরি দাবি করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিন মাস ধরে যে সন্দেশখালিকে সামনে রেখে বাংলাকে গোটা ভারতের কাছে অপমানিত করার যে চিত্রনাট্য রচনা করা হয়েছিল তা যে দিল্লির নেতাদের মদতে, রবিবার হাওড়ার নির্বাচনী জনসভা থেকে স্পষ্ট করে দিলেন তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
সন্দেশখালির ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই বারবার তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়েছিল বিজেপির নেতাদের এর জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। আজও পর্যন্ত বিজেপির কোনও নেতা বাংলার মহিলাদের, সন্দেশখালির মহিলাদের সম্ভ্রম দিল্লির কাছে বিক্রি করে দেওয়ার পরও এতটুকু অনুতাপ প্রকাশ করেননি। রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও তার ব্যতিক্রম না। নির্বাচনী জনসভা থেকে সন্দেশখালিকে ধর্মীয় রঙ দেওয়ার চেষ্টা করলেও সেখানকার মহিলাদের সঙ্গে যে অন্যায় বিজেপির নেতারা করেছে তার জন্য এতটুকুও অনুতাপ প্রকাশ করতে তাঁকে দেখা যায়নি। পাল্টা জনসভা থেকে অভিষেক দাবি করেন, “আজ প্রধানমন্ত্রী সভা করতে এসেছিল। ভেবেছিলাম মানুষের কাছে ক্ষমা চাইবেন। এখন তো বুঝছি খালি বাংলার নেতারা দায়ী নয়। দিল্লির অঙ্গুলি হেলনে সন্দেশখালির মতো ঘটনা ঘটেছে।”
রাজ্যের সম্মানহানি করার পাশাপাশি রাজ্যের মানুষকে শোষণের কোনও মাত্রাই বাকি রাখেনি বিজেপি। রাজ্য যেখানে মানুষের ন্যায্য পাওনা মিটিয়ে তাঁদের হাতে ক্ষমতা তুলে দেওয়া চেষ্টা করছে, তখন কেন্দ্রের সরকার দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করে মানুষকে সায়েস্তা করার চেষ্টা করছে। এমনকি লোকসভা নির্বাচনের প্রচারেও উন্নয়নমূলক কথা নেই খোদ প্রধানমন্ত্রীর মুখে। অভিষেক দাবি করেন, “প্রধানমন্ত্রী আসছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, অন্ন, বস্ত্র বাসস্থান এই নিয়ে কোনও কথা নেই। কথা কী নিয়ে? আমি মন্দির করেছি তাই আমাকে ভোট দাও। আমি যদি বলি আমি বালির উন্নয়ন করব না, কাল বালিতে সবথেকে বড় মন্দির করে দেব, আপনারা আমার কথা মানবেন?”
ধর্মীয় মেরুকরণ ছাড়া উন্নয়নের প্রশ্নে বিজেপি এতটাই অন্তঃসারশূন্য যে নির্বচনী ইস্তেহারেও তারা উন্নয়নের উল্লেখ করেনি বলে নির্বাচনী জনসভা থেকে কটাক্ষ করেন অভিষেক। হাওড়ার সাংসদ তথা এবারের প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে বালির জনসভা থেকে এভাবেই বিজেপির ফুটো বেলুন নিয়ে তোপ দাগেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।