রাজ্যের উন্নয়ন থেকে সন্দেশখালি, একাধিক ইস্যুতে মুখ পুড়েছে বিজেপি তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। ২০১৯-এর জেতা আসনও এবার ধরে রাখা নিয়ে সংশয়ে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। রাজ্যের নেতাদের আর ভরসা করতেই পারছেন না, তাই মোদি অমিত শাহদের ডেইলি প্যাসেঞ্জারিতেই ভরসা রাখছে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। ৩ তারিখ একবার রাজ্যে লাইন দিয়ে সভা করার পর রবিবার ফের রাজ্যে প্রধানমন্ত্রীর ম্যারাথন চার সভা। শনিবারই তার জন্য শহরে পৌঁছে যাচ্ছেন মোদি।
শনিবার সন্ধ্যা ৭.৩০ নাগাদ কলকাতা বিমান বন্দরে নামবেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। রাত্রিবাস রাজভবনে। রবিবার সকালে ১১.২০ নাগাদ রওনা দেবেন ব্যারাকপুরের (Barrackpur) উদ্দেশে। ব্যারাকপুরের প্রার্থী অর্জুন সিংয়ের সমর্থনে ভাটপাড়ায় সভা করবেন তিনি। শুধুমাত্র প্রার্থী হওয়া লোকসভা ভোটের লড়াই করার জন্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে অর্জুন সিং। সেখানে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। অপেক্ষা থাকবে দলবদলু অর্জুনের সমর্থনে মোদি কী বার্তা দেন। ব্যারাকপুর থেকে হুগলিতে (Hooghly) যাবেন নরেন্দ্র মোদি।
বেলা ১টা নাগাদ হুগলির চুঁচুড়ায় সভা করবেন মোদি। হুগলি কেন্দ্রের প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থনে প্রচার করবেন প্রধানমন্ত্রী। বেলা আড়াইটে নাগাদ আরামবাগের (Arambagh) প্রার্থী অনুপ কান্তি দিগারের সমর্থনে পুরশুড়ায় জনসভা করবেন তিনি। পুরশুড়া থেকে হাওড়ায় (Howrah) শেষ জনসভা করবেন মোদি। প্রচার করবেন প্রার্থী রথীন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর সমর্থনে।
তবে বারবার প্রধানমন্ত্রীর সফরের জন্য নাজেহাল শহরবাসী। অফিস ফিরতি যাত্রীদের শনিবার পড়তে হবে সমস্যার মুখে। শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত উল্টোডাঙা ফ্লাইওভার, ইএম বাইপাস, মা ফ্লাইওভার, এজেসি বোস ফ্লাইওভার, হসপিটাল রোড, লাভার্স লেন, খিদিরপুর রোড, জেনসন অ্যান্ড নিকলসন আইল্যান্ড, রেড রোড, আর আর অ্যাভিনিউ এবং রাজভবনের দক্ষিণ গেটের কাছে থাকা রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত করা হবে। আবার রবিবার, ১২ মে সকাল পৌনে ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত রাজভবনের দক্ষিণ গেট, আর আর অ্যাভিনিউ, রেড রোড, জেনসন ও নিকলসন রোড, খিদিরপুর রোড, ১১ নম্বর ফারলং গেট ও দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত হবে। এবং এই দুই সময়ই এইসব এলাকায় পণ্যবাহী যান চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে।