উন্নয়নের কথা নেই। নেই সন্দেশখালির ভুয়ো ভিডিও নিয়ে কোনও মন্তব্য। সভা করে মহানাটক বিজেপি (BJP) নেতা মিঠুন চক্রবর্তীর। শনিবার, তাহেরপুরে দলীয় প্রার্থী সমর্থনে মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty) এক মহিলাকে মঞ্চে তুলে হাতে গেরুয়া পতাকা তুলে দেন। পরিচয় দেন তৃণমূল (TMC) প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারীর (Mukutmani Adhikari) আইনত স্ত্রী স্বস্তিকা ভুবনেশ্বরী। তবে, বিষয়টিকে খুব একটা গুরুত্ব দিতে চায় না তৃণমূল।

রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রে BJP-র জগন্নাথ সরকারের বিরুদ্ধে তৃণমূল প্রার্থী করেছে সদ্য বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া চিকিৎসক মুকুটমণিকে। তিনি মতুয়া সমাজেও খুবই জনপ্রিয়। তাঁর স্ত্রীই নাকি স্বস্তিকা। রাজনৈতিক মহলের মতে, মুকুটমণি ও স্বস্তিকার আইনিভাবে বিচ্ছেদ না হলেও তাঁদের সম্পর্ক তলানিতে। গত বছর ২৮ মে তাঁদের বিয়ে হয়। কিন্তু পরের দিন থেকেই তাঁদের সম্পর্কে ফাটল ধরে বলে অভিযোগ স্বস্তিকার। BJP-তে থাকাকালীনই মুকুটমণির বিরুদ্ধে তিলজলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তাঁর স্ত্রী।

লোকসভা নির্বাচনের হলফনামাতেও মুকুটমণি জানিয়েছিলেন তিনি স্ত্রীর থেকে আলাদা থাকেন। দলীয় প্রার্থীর স্ত্রীর বিজেপিতে যোগদানের বিষয়টিকে খুব একটা গুরুত্ব দিতে চাইছে না তৃণমূল। তৃণমূল নেতা অরূপ চক্রবর্তী জানান, বহুদলীয় গণতন্ত্রে এটি স্বাভাবিক। প্রত্যেক মানুষই স্বতন্ত্র। তাঁদের ব্যক্তি স্বাধীনতা রয়েছে। এই উদাহরণ ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে অনেক রয়েছে। এর আগে দেখা গিয়েছে মোদি সরকারের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামানের স্বামী কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থনীতির সমালোচনা করেছেন। একসময় স্বামীর হয়ে লড়াই করে তাঁকে জিতিয়ে দেওয়া সুজাতা মণ্ডল এখন বিজেপি প্রার্থী প্রাক্তন স্বামী সৌমিত্র খাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূল প্রার্থী। এই বহুদলীয় গণতন্ত্রই চায় না বিজেপি। নরেন্দ্র মোদি নিজেই নির্বাচনী হলফনামায় দীর্ঘদিন তাঁর স্ত্রীকে স্বীকৃতি দেননি। পরে চাপে পড়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন। প্রত্যেক মানুষই স্বতন্ত্র। সুতরাং স্বস্তিকার বিজেপিতে যোগদান স্বাভাবিক।
আরও পড়ুন- অ্যাডামাস বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে ১ কোটি টাকার চাকরি






































































































































