লোকসভা নির্বাচনে অন্যতম হাইভোল্টেজ কেন্দ্র বহরমপুর ৷ এই কেন্দ্রে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেস ময়দানে নামিয়েছে তাদের তারকা প্রার্থী ইউসুফ পাঠানকে ৷প্রথমবার ভোটের ময়দানে নেমে ভালমতোই প্রচার চালাচ্ছেন ইউসুফ পাঠান ৷ এবার ভোটযুদ্ধে পাশে পেয়ে গেলেন ভাই ইরফান পাঠানকেও ৷ বৃহস্পতিবার ইরফান একদিনের জন্য বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে প্রচার করলেন ‘ভাই’ ইউসুফের জন্য। রেজিনগর, বেলডাঙা-সহ বহরমপুর লোকসভার বিভিন্ন এলাকায় রোড-শো করেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন দাদা ইউসুফও।
আগামী ১৩ মে ভোটগ্রহণ বহরমপুরে। ১১ তারিখ শেষ পর্বের প্রচার। শেষ প্রচারের ৪৮ ঘণ্টা আগে দুই পাঠানকে দিয়ে রোড-শো করিয়ে প্রচারে ঝড় তুলল তৃণমূল।ক্রিম রঙের ট্রাউজ়ার, সঙ্গে ম্যাচিং টি-শার্ট আর স্পোর্টস ক্যাপ। পায়ে ব্ল্যাক স্নিকার্স। চপার থেকে নেমে কালো গাড়িতে সোজা দাদা ইউসুফের অস্থায়ী ঠিকানায়। পাঁচ বারের কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীর সঙ্গে ‘ভাই’ ইউসুফ পাঠানের নির্বাচনী লড়াই কঠিন, মানছেন তিনিও। ক্রিকট মাঠে লড়াইয়ের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে চাইছেন। দুপুরে রোড-শো শুরুর আগেই ইরফানকে ঘিরে উন্মাদনা তুঙ্গে। ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটারের প্রচার কর্মসূচি ঘিরে উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো। কার্যত এই রোড শো ঘিরে বহরমপুর জনস্রোতে ভাসল।
‘ভাই’য়ের জয় প্রসঙ্গে এদিন ইরফান বলেন, আপনারা সবাই জানেন ইউসুফ কতটা পরিশ্রমী। যে ভাবে ওর প্রচারে মানুষের সাড়া দেখলাম, তাতে আমার দৃঢ় বিশ্বাস ইউসুফ জিতবে। আমার এ-ও বিশ্বাস যে, ও খুব ভাল কাজ করবে। তিনি বলেন, আমরা রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে আসিনি। আমরা দেশের জন্য খেলেছি। চোট নিয়ে খেলে বিশ্বকাপ জিতেছে ‘ভাই’। তাই প্রতিকূল পরিস্থিতির বিরুদ্ধে লড়াই জানি।
কষ্টের মধ্যেও লড়াইয়ের অভিজ্ঞতা আছে ওর। তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা এদিন রোড শোতো পা মেলান। যেভাবে জন সমর্থন আর উচ্ছ্বাসে ভেসেছেন ইউসুফ, তাতে বাড়তি অক্সিজেন পেয়েছেন তিনি। এখন দেখার ভোট বাক্সে তার প্রতিফলন কতটা দেখা যায়।








































































































































