কবিগুরুর নাম মুছে ফেলা মোদি রবীন্দ্র জয়ন্তীতে বাঙালিভক্ত! ভিডিও বার্তা প্রকাশ

0
3

লোকসভা নির্বাচনের আবহে বারবার বিজেপি নেতা মন্ত্রীরা নিজেদের বাংলা প্রেমী হিসাবে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেছেন। সেই তালিকায় নতুন সংযোজন রবীন্দ্র জয়ন্তীতে (Rabindra Jayanti) নরেন্দ্র মোদির বাংলায় ভিডিও বার্তা। যে নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) নাম শান্তিনিকেতনকে হেরিটেজ (Heritage) ঘোষণার সময় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম মুছে দিয়ে লেখা হয়েছিল, এবং তিনি কোনও পদক্ষেপ নেননি, সেই মোদিই রবীন্দ্র জয়ন্তীতে হঠাৎ রবীন্দ্রপ্রেমী। নির্বাচনের সময় থেকে ‘বহিরাগত’ মোদি তথা বিজেপির এভাবে বাংলাপ্রেমী হয়ে ওঠা নিয়েই গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সরব হয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

বুধবার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪তম জন্মবার্ষিকীতে সোশ্যাল মিডিয়ায় (social media) একটি ভিডিও প্রকাশ করেন নরেন্দ্র মোদি। সেখানে লেখা হয়, “গুরুদেব টেগোরের জন্মজয়ন্তীতে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ। তাঁর সহিষ্ণু প্রজ্ঞা ও প্রতিভা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে অসংখ্য মানুষকে প্রাণিত ও আলোকিত করতে থাকবে।”

পাশাপাশি সেখানে একটি অডিও বার্তা দেন মোদি। তিনি বাংলাতে বলেন, “চলায় চলায় বাজবে জয়ের ভেরী। পায়ের বেগেই পথ কেটে যায়, করিস না আর দেরি।” এরপরের বার্তা তিনি হিন্দিতে বলেন, “গুরুদেব টেগোর নিজের কবিতা নতুন যুগের ধর্মে বলেছেন। প্রত্যেক অগ্রগামী পদক্ষেপে ঘোষণা হবে – চলার পথই নতুন রাস্তা তৈরি করবে।”

সেই সঙ্গে শিক্ষক রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে মোদি বলেন, “রবীন্দ্রনাথ একজন প্রতিভাশালী ও দীর্ঘ ব্যক্তিত্ব ছিলেন। কিন্তু তাঁর মধ্যে একজন শিক্ষক সব সময় অনুভব করতেন। তিনি গীতাঞ্জলীতে লিখেছিলেন He, who has the knowledge has the responsibility to impart it to the students. অর্থাৎ যার জ্ঞান রয়েছে এটা তাঁর কর্তব্য সেটা জিজ্ঞাসু ব্যক্তিদের সঙ্গে ভাগ করে নেবেন। গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জ্ঞান ও বিবেকপূর্ণ ব্যক্তিত্ববান ছিলেন। ওনার লেখনি প্রত্যেক ব্যক্তির উপর ব্যাপক ছাপ রেখে গিয়েছে।”