ডানলপ-জেশপ খুলতে দিচ্ছে না কেন্দ্র: বলাগড়ে মোদি সরকারের মুখোশ খুললেন মমতা

0
3

বাংলা বিরোধী মোদি সরকার। রাজ্যকে বারবার বঞ্চিত করেছে। বকেয়া টাকা দেয়নি। উল্টে রাজ্য সরকার কিছু করতে গেলে, সেই অনুমতিতেও বাধ সেধেছে। বিধবার, বলাগড়েক সভা থেকে এই বিষয় নিয়ে কেন্দ্রকে তুলোধনা করলেন তৃণমূল সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ডানলপ কারখানা খোলা নিয়ে মোদি সরকারকে নিশানা করেন মমতা। তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্রের কাছে রাজ্য সরকার আবেদন করেছিল ডানলপ-জেশপ কারখানা চালানোর জন্য। আজ পর্যন্ত দিল্লির সরকার রাজ্যকে দেয়নি।

২০০৬ সাল থেকে বন্ধ হুগলির ডানলপের (Dunlop) টায়ার তৈরির কারখানা। রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পরে ২০১৪ সালে এই কারখানা খোলার প্রক্রিয়া শুরু করেছিল তৃণমূল সরকার। ২০১৬ সাল থেকেই এই কারখানার ক্ষতিগ্রস্থ শ্রমিকদের মাসিক ভাতার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু রাজ্যের উদ্যোগে সেই সময় থেকেই অসহযোগিতা করেছে বিজেপি সরকার। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, “শ্রমিকদের মাইনে বন্ধ করে দিয়েছিল। ২০১৬ সালে রাজ্য একটি বিল পাশ করে জেশপ (Jessop) ও ডানলপের জন্য। সেই বিল অনুযায়ী কেন্দ্রের কাছে রাজ্য সরকার আবেদন করেছিল এই দুই কারখানা চালানোর জন্য। আজ পর্যন্ত দিল্লির সরকার রাজ্যকে দেয়নি।”

কেন্দ্রের গাফিলতির পিছনেও কারণ ব্যাখ্যা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কারখানার মালিক যিনি তিনি বিজেপির এক নম্বর লোক। আমি চাই ডানলপ জেশপ খুলুক। নিজেরাও খুলবে না, আমাদেরও খুলতে দেবে না।” ডানলপ জেশপের কর্মীদের মাসিক ১০ হাজার টাকা ভাতার পাশাপাশি স্বাস্থ্য বিমারও উল্লেখ করেন তৃণমূল নেত্রী।

বিজেপির বাংলার প্রতি এই দ্বিচারিতাকে যোগ্য জবাব দিতেই হুগলির বিজেপি প্রার্থী তথা সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে হারানোর বার্তা দেন তিনি। তিনি বলেন, “আমি রচনাকে প্রার্থী করেছি , কারণ যিনি এখানে বিজেপির প্রার্থী আছেন তিনি সকলের গলারই লকেট!” সঙ্গে তিনি আরও বলেন, “আমি খারাপ সেন্সে বলছি না। ভাল সেন্সেই বলছি। আর আমি বলব অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো, রচনাকে তাই প্রার্থী করেছি।”

হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে সাংসদ হিসাবে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে বলাগড়ের নির্বাচনী জনসভা থেকে এলাকার উন্নয়নে তৃণমূলের দীর্ঘদিনের খতিয়ান তুলে ধরেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “বলাগরে ইকো ট্যুরিজম পার্ক করেছি সবুজ দ্বীপ। ফুরফুরা শরীফে সাজিয়ে দিয়েছি। তারকেশ্বর সাজিয়ে দিয়েছি। পুণ্যভূমি কামারপুকুরের উন্নয়নে ৮০ কোটি টাকার প্রকল্প করে দিয়েছি। চন্দননগরের নিউ দিঘা পর্যটনকেন্দ্র, ওভারল্যান্ড পার্ক, লালদিঘী সংস্কার-সংরক্ষণ, ইমামবাড়ার সংরক্ষণ, শ্রীরামপুরের হেনরি মার্টিন প্যাগোডা ও ড্যানিস গভর্নরের বাড়ি সংরক্ষণ করা হচ্ছে। মাহেশের জগন্নাথ মন্দির, রাধাবল্লভ মন্দির, মাসির বাড়ির উন্নয়ন, বল্লভপুর ঘাট, জগন্নাথঘাট জেটির কাজ করে দিয়েছি।”