প্রকাশিত হল উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল (HS results)। প্রথম দর্শনের মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছেন ৫৮ জন কৃতি ছাত্র-ছাত্রী। পাশের হার ৯০ শতাংশ। এ বছর উচ্চমাধ্যমিকে এগিয়ে ছেলেরা। ছাত্রদের পাশের হার ৯২.৩২ শতাংশ। ছাত্রীদের ৮৮.১৮ শতাংশ। অভীক দাস (Avik Das) প্রথম স্থান অধিকার করেছেন। আলিপুরদুয়ারের ম্যাকউইলিয়াম হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের ছাত্র পেয়েছেন ৪৯৬। তাঁর স্বপ্ন মহাকাশের রহস্য ভেদ করার। তাই অ্যাস্ট্রোফিজিক্স নিয়ে এগিয়ে যেতে চান তিনি। একটু ব্যতিক্রমী ভাবনার এই পড়ুয়াকে শুভেচ্ছা বার্তায় ভরিয়ে দিয়েছেন তাঁর আত্মীয় প্রিয়জন এবং সোশ্যাল মিডিয়া। অভীক আলিপুরদুয়ারের পূর্ব অরবিন্দ নগরের বাসিন্দা। তার বাবা প্রবীরকুমার দাস ছেলের সাফল্যে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত।

এবছরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৪৯৫ নম্বর পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের পড়ুয়া সৌম্যদীপ সাহা (Soumyadeep Saha, Narendrapur Ramkrishna mission)। আগামীতে স্ট্যাটিস্টিক্স নিয়ে পড়াশোনা করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, ” সবাই যদি ডাক্তার হতে চাই তাহলে রোগী হবে কে?” মালদহের রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের ছাত্র অভিষেক গুপ্ত (Abhishek Gupta) বলছেন রামকৃষ্ণ মিশনে পড়ার মধ্যে দিয়েই চরিত্র গঠনের শিক্ষা লাভ হয়ে যায়। এবার অংক নিয়ে আগামীতে ক্যারিয়ার গড়তে চান তিনি। উচ্চ মাধ্যমিকের প্রথম তিন সফল পড়ুয়ার ইচ্ছের কথা প্রকাশ্যে আসতেই নানা মহলের নানা মত। যেখানে ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার জন্য এত দৌড়াদৌড়ি, সেখানে সম্পূর্ণ অন্য পথে এই তিন ছাত্র নিজেদের আগামীতে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করে রেখেছেন। শিক্ষাবিদদের মধ্যে অনেকেই মনে করছেন, মাধ্যমিকের পর উচ্চ মাধ্যমিকের প্রস্তুতি নেওয়ার যে সন্ধিক্ষণ তাতে পড়ুয়ারা অনেকটাই পরিণত হয়ে যান। ফলে চিন্তা ভাবনার উপর তার প্রভাব পড়ে। যেভাবে ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ারদের সংখ্যা বাড়ছে সেখানে দাঁড়িয়ে ভবিষ্যতের কর্মজগতের নিশ্চয়তার বোধহয় এই ভাবনা চিন্তায় একটা ছাপ রেখে যায়। আবার অনেকের মতে মেধা তালিকায় যাঁরা উপরের দিকে থাকেন তাঁরা সাধারণত গবেষণামূলক পড়াশুনাই করতে চান। সেই ভাবনাই ধরা পড়েছে প্রথম তিনজনের কথায়।




 
 
 
 



































































































































