কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে বিরোধী দলের নেতা, এমনকি মুখ্যমন্ত্রীদেরও জেলে পাঠাতে দ্বিধা করেনি বিজেপি সরকার। তবে ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনতে জেলে পাঠিয়েও রাজ্যে দমিয়ে রাখা যায়নি বিরোধী জোট শরিক ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চাকে। এবার ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেস নেতা মন্ত্রীদের নিশানা করে ফাঁদে ফেলার প্রক্রিয়া শুরু কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি-র। ১৩ মে ঝাড়খণ্ডে প্রথম দফার নির্বাচন। তার আগে বিরোধীদের এভাবেই চাপে রাখার অস্ত্র প্রয়োগ বিজেপির।
সোমবার ঝাড়খণ্ডের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী আলমগীর আলমের আপ্ত সহায়ক সঞ্জীব লালের গৃহ সহায়কের বাড়িতে তল্লাশি চালায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। রাঁচির সেই বাড়ি থেকে প্রথমে ৩২ কোটি টাকা ও আশেপাশের এলাকা থেকে প্রায় ৩ কোটি টাকা উদ্ধার হয়। সোমবারই সঞ্জীব লাল ও তাঁর গৃহ সহায়ককে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে ইডি। পরে সঞ্জীব লালকে গ্রেফতার করা হয়।
ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেস নেতা তথা মন্ত্রী আলমগীর আলম দাবি করেন, মন্ত্রীর আপ্ত সহায়ক একজন সরকারি কর্মী। বর্তমানে তিনি আলমগীর আলমের আপ্ত সহায়ক হলেও এর আগে আরও দুই মন্ত্রীর আপ্ত সহায়ক ছিলেন তিনি। অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে আপ্ত সহায়ক নিয়োগ করা হয়ে থাকে। এই মামলা ইডি-র তদন্তাধীন হওয়ায় এই প্রসঙ্গে অতিরিক্ত কোনও মন্তব্য করেননি কংগ্রেসের মন্ত্রী।