ফের অঙ্গদানের নজির কলকাতায়। মৃত্যুর পরেও বেঁচে থাকবে বছর ২৭-এর সানু দাস। রক্ত সঞ্চালন করবে তার হৃদপিণ্ড।
ঘটনাটি ঠিক কী? এ শহরেরই বাসিন্দা ছিলেন শানু দাস। থাকতেন হালতুতে। একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করতেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার বাইক চালিয়ে যাওয়ার পথে মা ফ্লাইওভারে দুর্ঘটনা কবলে পড়েন শানু। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল এসএসএকেএম হাসপাতালে ট্রমা কেয়া ইউনিটে ভর্তি করা হয়। এরপরই রবিবার ব্রেন ডেথ হয় কসবার বাসিন্দা সানুর। এরপরেই অস্ত্রোপচার করে বের করা হয় হৃদযন্ত্র। এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে গ্রিন করিডর করে তা যায় বিমানবন্দরে। এরপর উড়ানে চেন্নাইয়ের এমজিএম হাসপাতাল। সেখানে এক রোগীর দেহে প্রতিস্থাপন করা হয় সানুর হৃদযন্ত্র। শুধু হৃদযন্ত্রই নয়, তার লিভার প্রতিস্থাপন করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালেরই ৫৪ বছরের এক রোগীর দেহে। কিডনি গিয়েছে কমান্ড হাসপাতালে। দুটি চোখও দান করা হয়েছে এসএসকেএম হাসপাতালেই।
এর আগে, কালীঘাটে রাস্তা পার করার সময়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলেন বসিরহাটের বাসিন্দা ৪৮ বছরের জগদীশ মণ্ডল। বাইকের ধাক্কায় রাস্তায় ছিটকে পড়েছিলেন তিনি। আঘাত লেগেছিল মাথায়। এরপর এসএসকেএম হাসপাতালে আপ্রাণ চেষ্টা করেও জগদীশের জ্ঞান ফেরাতে পারেননি চিকিৎসকরা। পরিবারের লোককে জানিয়ে দেওয়া হয়, ব্রেন ডেথ হয়ে দিয়েছে রোগীর। অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত নেন পরিবারের লোকেরা।
আরও পড়ুন- সোমবার দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে জোড়া সভা অভিষেকের