ওড়িশায় বিজেডির (BJD) সঙ্গে লোকসভা নির্বাচন বা বিধানসভা নির্বাচনে আসন রফা হয়নি বিজেপির। তারপরে কার্যত ওড়িশায় (Odisha) দুই নির্বাচনে প্রার্থী খুঁজতে হাবুডুবু খেতে হয়েছে বিজেপিকে। এরপরই নির্বাচনী প্রচারে ওড়িশা ঢুকে নবীন পট্টনায়েককে (Naveen Patnaik) হুঁশিয়ারি দেওয়া শুরু নরেন্দ্র মোদির। এমনকি ওড়িশা থেকে বিজেডি শাসনের অবসানের দাবিও করেন তিনি। যদিও পাল্টা নবীন পট্টনায়েকের দাবি দিবাস্বপ্ন দেখছেন মোদি।

এনডিএ (NDA) জোটের একাধিক সঙ্গী যারা ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির হাত ছেড়েছে অনেক দল, তেমনই পদ্ম থেকে আলাদা হয়েছে শঙ্খ। আসন রফা নিয়ে বিজেপির দাবি ঘিরে অসন্তোষে এবার দুই নির্বাচনের কোথাও জোট হয়নি বিজেডি ও বিজেপির। ২০০৯ সাল থেকে একক সংখ্যা গরিষ্ঠতায় ওড়িশায় সরকার প্রতিষ্ঠা করে আসা বিজেডিকেই এবার চ্যালেঞ্জ নরেন্দ্র মোদির।

অন্যান্য রাজ্যের নামে যেভাবে কুৎসা করেন নরেন্দ্র মোদি সেভাবেই ব্রহ্মপুরের (Berhampur) জনসভা থেকে নবীন পট্টনায়েক প্রশাসনের নামে কুৎসা করতে বাকি রাখেননি। তিনি দাবি করেন, কেন্দ্রের দেওয়া বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা বিজেডি সরকার খরচ করতে পারেননি। অথচ ওড়িশায় বিজেডি নেতারা বড় বড় বাংলোতে থাকেন। তিনি দাবি করেন, “বিজেডি সরকারের এক্সপায়ারি ডেট (expiry date) ৪ জুন। ওড়িশার আকাশে নতুন আশার সূর্য আনবে বিজেপি।”

তবে মোদির সমালোচনায় দমে যাওয়ার পাত্র নন নবীন পট্টনায়েক। লোকসভা নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পরেও বিজেপির সঙ্গে আসন রফার বৈঠকে একচুল জমি ছাড়েনি বিজেডি। সোমবার মোদির বাউন্সারও সটান মাঠের বাইরে পাঠালেন নবীন নিজে। তিনি পাল্টা দাবি করেন, “অনেকদিন ধরে বিজেপি-রা দিবাস্বপ্ন দেখছেন।”









































































































































