সন্দেশখালি চক্রান্ত নিয়ে চুপ! কবে গ্রেফতার চক্রান্তকারী? অমিতকে প্রশ্ন তৃণমূলের

0
3

লোকসভা নির্বাচনের শুরু থেকে বাংলাকে গোটা দেশে অপমানিত করে নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক ভরানোর কৌশলে নেমেছিল বিজেপি নেতারা। সেই সন্দেশখালির প্রকৃত সত্য প্রমাণ সহ তুলে ধরার পরে সন্দেশখালি নিয়ে মুখে কুলুপ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের। বিজেপির ষড়যন্ত্রের পর্দা ফাঁস হতেই সন্দেশখালিতে মহিলাদের পাশ থেকেও সরে গেলেন অমিত শাহ। এমনকি গোটা দেশের কাছে বাংলাকে অপমানিত হতে হল যে বিজেপি নেতা কর্মীদের জন্য তাদের শাস্তির কোনও কথাই শোনা গেল না অমিত শাহর নির্বাচনী প্রচার থেকে।

সোমবার ফের ডেইলি প্যাসেঞ্জারিতে কৃষ্ণনগর ও দুর্গাপুরে আসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কৃষ্ণনগরে রোড শো থেকে তিনি প্রশ্ন করেন, “সন্দেশখালির মতো মা-বোনেদের শোষণ বন্ধ হওয়া উচিত কী না?” দুর্গাপুরে ফের নির্বাচনী জনসভা থেকে সন্দেশখালি নিয়ে পুরোনো ধর্মীয় তাস খেলে দাবি করেন হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পরই গ্রেফতার হন শাহজাহান শেখ। কিন্তু কোথাও তাঁর মুখে গঙ্গাধর কয়ালের নাম শোনা যায়নি। এমনকি গঙ্গাধরের মতো চক্রান্তে সন্দেশখালির বিজেপি নেতাদের মদত দেওয়া শুভেন্দু অধিকারীর নামও শোনা যায়নি।

অমিত শাহের পিঠ বাঁচানো বার্তার পরে তৃণমূলের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করা হয়, সন্দেশখালির মতো ঘটনা থামাতে অমিত শাহ যদি চান তাহলে কেন দল থেকে বহিষ্কার করা হচ্ছে না শুভেন্দু অধিকারী বা গঙ্গাধর কয়ালকে, যারা সন্দেশখালির চক্রান্ত সাজিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে প্রশ্ন করা হয় কেন বিজেপির পক্ষ থেকে মিথ্য়ার ভিত্তিতে বাংলাকে যেভাবে বদনাম করা হয়েছে তার জন্য কখন ক্ষমা চাইবেন? না কি গোটা পরিকল্পনাটাই সাজানো হয়েছিল অমিত শাহেরই নির্দেশে? সেই সঙ্গে ভোটের বাজারে ডেইলি প্যাসেঞ্জার অমিত শাহকে সতর্ক করা হয় এই বলে, আন্দাজে ঢিল মেরে কোনও লাভ হবে না। বাংলা এবার স্পষ্ট ক্ষমা দাবি করে।

সন্দেশখালি নিয়ে গোটা চক্রান্ত ফাঁস হয়ে যাওয়ার পরই অতি সতর্ক বিজেপি শিবির। অমিত শাহর দুই কেন্দ্রের প্রচারে তাই সাজানো শুধু রামমন্দির আর কাশ্মীর। কখনও তিনি দাবি করলেন বাংলা থেকে ১৮ আসন জিতে আসার পরই পাঁচ বছরে রামমন্দির নির্মাণ সম্ভব হয়েছে মোদি সরকারের পক্ষে। অথচ বাংলা থেকে ১৮ আসন জিতে যাওয়ার পরও কেন বাংলার উন্নয়নের টাকা বরাদ্দ করা হল না, সেই উত্তর তৃতীয় দফা নির্বাচনের আগের দিনও পাওয়া গেল না অমিত শাহের থেকে। দিলীপ ঘোষের সমর্থনে প্রচারে এক সপ্তাহে দুবার ডেইলি প্যাসেঞ্জারিতে ফের কাশ্মীর ইস্যুতে ভোট চাইতে হল অমিত শাহকে। পুঞ্চে সন্ত্রাসবাদী হামলার তিনদিনের মধ্যে অমিত শাহের দাবি, “মোদির সময়েই কাশ্মীরে রক্তপাত বন্ধ হয়েছে”!