মেয়ের মৃত্যুর জন্য দায়ী কোভিশিল্ড! প্রস্তুতকারী সংস্থাকে কাঠগড়ায় তুলে আদালতে বাবা

0
1

কোভিশিল্ডেই (Covishield) লুকিয়ে রয়েছে মৃত্যুফাঁদ! আর তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার (Side Effects) জেরেই মাত্র ২০ বছর বয়সে প্রাণ হারিয়েছেন এক তরুণী। এবার সেই ঘটনার জেরেই নতুন করে বিড়ম্বনা বাড়ল ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকার (Astrazeneca)। সূত্রের খবর, ২০২১ সালে মাত্র ২০ বছর বয়সেই কোভিড শিল্ডের টিকা নিয়েই প্রাণ হারান এক তরুণী। তাঁর বাবা ইতিমধ্যে বিষয়টি সামনে এনে মেয়ের মৃত্যুর জন্য কোভিশিল্ডকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন। পাশাপাশি তিনি এক্স হ্যান্ডলে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও কোভিশিল্ডের নির্মাতা সিরাম ইনস্টিটিউটের বিরুদ্ধেও। তরুণী করুণ্যার বাবা ভেনুগোপালন গোবিন্দন ওই পোস্টে দাবি করেছেন, টিকা ব্যবহারের পরই মৃত্যু হয়েছে তাঁর মেয়ের।

.

ভেনুগপালনের অভিযোগ, যখন ওই টিকা ব্যবহারের পর রক্ত জমাট বাঁধার কারণে ইউরোপের একাধিক দেশে যখন কোভিশিল্ড বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তখনই সিরাম ইনস্টিটিউটের উচিত ছিল টিকা সরবরাহ একেবারে বন্ধ রাখা। তবে সেকাজ তারা করেনি। উলটে আরও মানুষের প্রানহানির ঘটনা ঘটেছে টিকা ব্যবহারের জেরেই। তবে করুণ্যার বাবা মেয়ের মৃত্যুর সুবিচারের আশায় বহু আদালতে হন্যে হয়ে ঘুরলেও লাভের লাভ কিছুই হয়নি। ২০২১ সালে প্রয়াত ঋতিকা নাম্নী, আরেক তরুণীর মা রচনা গাঙ্গু এবং করুণ্যার বাবা ভেনুগোপালন আগেই সুপ্রিম কোর্টে রিট পিটিশন জমা দিয়েছিলেন। এদিকে ব্রিটেনের অ্যাস্ট্রাজেনেকার ওষুধ ভারতে তৈরির লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল পুনের সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়াকে। কোভিডের মারণথাবা থেকে বাঁচতে বহু মানুষই নিয়েছিলেন কোভিশিল্ডের টিকা। এই পরিস্থিতিতেই বুধবার সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন বিশাল তিওয়ারি নামে এক আইনজীবী।

তবে কোভ্যাক্সিন টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থা ভারত বায়োটেক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, তাদের ভ্যাকসিনে কোনও সাইড এফেক্ট নেই। প্রথমে নিরাপত্তা এবং তারপর কার্যকারিতার উপর ফোকাস করেই কোভ্যাক্সিন বানানো হয়েছিল।