রাজ্যে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল টানাপোড়েন অব্যাহত। সুপ্রিম কোর্ট আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ ভাবে সমস্যা মিটিয়ে নেওয়া কথা বলেছে। কিন্তু রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose) কি আদৌ এই সমস্যার সমাধান চান? শীর্ষ আদালতে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানির পরের দিনই নিজের এক্স হ্যান্ডেলে এই বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলে আচার্যকে তীব্র খোঁচা দিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)।
রাজ্যের ৩১ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে (University) উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে আচার্যের গাফিলতিতেই বাড়ছে জটিলতা। এ বিষয়ে রাজ্য বারবার সমস্যা সমাধানের কথা বললেও আচার্য সে সমস্যার সমাধান করা তো দূর হস্ত বরং আরো জট পাকাচ্ছেন নিয়োগের বিষয়ে। উপাচার্য নিয়োগের জট কাটাতে মামলা গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। আদালত নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যের সুপারিশ করা উপাচার্যদেরকেই নিয়োগ করতে হবে আচার্য তথা রাজ্যপালকে। উপাচার্যকে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। আদালত বলেছিল, রাজ্যের ৩১টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ওই ছ’টি বাদ দিয়ে বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগের জন্য রাজ্য সরকার রাজ্যপালের কাছে বাছাই করা কিছু নামের তালিকা পাঠাবে।
— Bratya Basu (@basu_bratya) April 30, 2024
সোমবার অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে মামলার শুনানি চলাকালীন দু’পক্ষের সওয়াল শোনার পর বেশ কয়েকটি মৌখিক পর্যবেক্ষণের কথা জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এই নিয়ে আনন্দ বোসকে তীব্র আক্রমণ করে ব্রাত্য (Bratya Basu) এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “শীর্ষ আদালতের সেই পর্যবেক্ষণ থেকে স্পষ্ট যে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করেছেন রাজ্যপাল। এ-ও স্পষ্ট, ৬ জনের মধ্যে মাত্র ২জনকে অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হলেও তাঁদের নিয়োগ করা হয়নি। শুনানি চলাকালীন শীর্ষ আদালতের মন্তব্য ছিল, অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগের পুরো প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত ধীর গতিতে চলছে এবং এত দিনে ৩১টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ১৫-১৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ হয়ে যাওয়া উচিত ছিল। সুপ্রিম কোর্ট শান্তিপূর্ণ ভাবে মিটিয়ে নেওয়ার কথা বললেও আচার্য কি আদৌ বিষয়টির নিষ্পত্তি চান?“ প্রশ্ন তোলেন শিক্ষামন্ত্রী।