মালদহে কখনও লোকসভা আসন জেতেনি তৃণমূল। তবে ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে ঢেলে দিয়েছেন মালদহের মানুষ। সেই কারণেই বাংলায় বিজেপিকে তিনি রুখে দিতে পেরেছেন। রবিবাসরীয় দুপুরে কালিয়াচকে মালদহ দক্ষিণের দলীয় প্রার্থী শাহনওয়াজ আলি রায়হানের হয়ে প্রচার সভায় এই বার্তা দিলেন তৃণমূল (TMC) সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)। তাঁর কথায়, বাংলায় বিজেপির বিরুদ্ধে একাই লড়ছে তৃণমূল। কংগ্রেস (Congress) হাত মিলিয়েছে সিপিআইএমের সঙ্গে। সুতরাং আসন ভাগাভাগি করে বিজেপিকে সুবিধা না করে দিয়ে, দিল্লিতে সরকার পরিবর্তন করতে তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানান মমতা।

তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো স্পষ্ট জানান, বাংলার বাইরে যেখানে যেখানে আমাদের ক্ষমতা আছে আমরা কংগ্রেসকে সাহায্য করছি। কিন্তু বাংলায় আমাদের কোনও জোট নেই। এখানে আমি কংগ্রেসকে দুটো সিট দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তারা রাজি না হয়ে সিপিএমের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। এই কারণে বাংলায় বিজেপির বিরুদ্ধে একাই লড়ছে তৃণমূল। এরপরে মমতা বলেন, যদি চান দিল্লিতে মোদি বিদায় নিক, তাহলে বাম কংগ্রেসকে ভোট দিয়ে ভোট কাটাকাটির রাজনীতিতে যাবেন না।

এর পরেই মালদহ দক্ষিণের বিদায়ী কংগ্রেস সাংসদ আবু হোসেন খান চৌধুরীকে কটাক্ষ করেন মমতা। তিনি বলেন, এমন একজন সাংসদ যিনি এলাকাতেও আসেন না, সংসদেও জান না। তৃণমূল সুপ্রিমোর কথায়, যাঁদের কখনও সংসদে দেখা যায় না, তাঁদের ভোট দেবেন কেন? এরপর এই তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ মহুয়া মৈত্রের উদাহরণ তুলে ধরেন তৃণমূল সভানেত্রী। বলেন, আমাদের সাংসদ মহুয়া মৈত্র মোদির বিরুদ্ধে কথা বলেছিলেন বলে তাঁকে সংসদ থেকে বের করা দিয়েছে। সংসদে আমরা লড়াকু প্রতিনিধি পাঠাবো।
এরপরেই তাঁর আমলে সংখ্যালঘু উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। জানান, সিপিএমের সময় ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল, আমি সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছি। আমরা মৌসম বেনজির নূরকে রাজ্যসভায় সাংসদ করেছে। আমি কোনওদিন আপনাদের উপর অত্যাচার হতে দিইনি। আমি আপনাদের জীবন নিয়ে খেলতে দিইনি। আমি উন্নয়ন করেছি। মমতার কথায়, এটা দিল্লিতে মোদি বাবুর গদি উল্টানোর নির্বাচন।
তৃণমূল সভানেত্রী বার্তা দেন, যতদিন তৃণমূল থাকবে আমরা জাতি-ধর্ম-ঐক্য সমন্বয় করে যাব।









































































































































