মানুষ মারা ডাক্তার! কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বাঁকুড়ার বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকারের ছেলের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ এক রোগীর পরিবারের। যা নিয়ে উত্তাল বাঁকুড়া। সুভাষ সরকারের চিকিৎসক ছেলের বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছে বাঁকুড়া থানায়! ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগে গত ২৪ এপ্রিল রোগীর পরিবারের তরফে বিজেপি প্রার্থীর ছেলে সোমরাজ সরকারের বিরুদ্ধে এই এফআইআর করা হয়। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতে রাজনৈতিক মহলে শোরগোল তৈরি হয়েছে। ভোটের মুখে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবিরও।

পুলিশ সূত্রে খবর, বাঁকুড়ার লালবাজার কামারপাড়ার বাসিন্দা ২৬ বছর বয়সী গৃহবধূ মৌসুমী দে। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর থেকেই তিনি সোমরাজের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা করছিলেন। মৌসুমীর স্বামী তন্ময় দে জানান, “সোমরাজের কথা মতো গত ২১মার্চ স্ত্রীকে সুভাষ সরকারের নার্সিংহোমে ভর্তি করি। রাতে স্ত্রী কন্যা সন্তান প্রসব করেন। রাত ১১ টার পর থেকে স্ত্রীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। কিন্তু সোমরাজের দেখা মেলেনি। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সেখান থেকে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে স্থানান্তর করা হয়। ২৫ মার্চ সেখানেই স্ত্রী মারা যান।” এরপরই
মন্ত্রীর ছেলের বিরুদ্ধে বাঁকুড়া থানায় এফআইআর রুজু করেছেন মৃত বধূর স্বামী তন্ময় দে। অভিযোগে, সোমরাজ সরকারের গাফিলতি ও ভুল চিকিৎসার কারণেই তাঁর স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। তাই অভিযুক্ত চিকিৎসকের কঠোর তম শাস্তি দাবি করা হচ্ছে। মৃত বধূর স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মৃতার পরিবারের অভিযোগ, “পেশায় চিকিৎসক হওয়ার দৌলতে বাঁকুড়া শহরে মন্ত্রী সুভাষ সরকারের হার্দিক মেডিক্যাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি নার্সিংহোম রয়েছে। কোনও সরকারি বৈধ অনুমতি ছাড়াই সোমরাজ সেখানে চিকিৎসক হিসেবে কাজ করতেন।” ঘটনার প্রতিবাদে সুভাষ সরকারের হাসপাতালের সামনে গৃহবধূর দেহ রেখে বিক্ষোভও দেখান পরিবার ও প্রতিবেশিরা।
আরও পড়ুন- নৈনি লেকে বন্ধ বোটিং, দাবানল এগোলো হাইকোর্ট পর্যন্ত


 
 
 
 




































































































































