আইএসএল-এর ম্যাচে রবিবার যুবভারতীতে ওড়িশা এফসি-র বিরুদ্ধে সেমিফাইনালের ফিরতি পর্বের লড়াই নামছে মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। সেই ম্যাচে দু’গোলের ব্যবধানে জিততে হবে মোহনবাগানকে। তবেই আইএসএলের ফাইনাল খেলতে পারবে আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের দল। একদিন বিশ্রাম নিয়ে বৃহস্পতিবার থেকে ওড়িশা বধের মহড়া শুরু করেছে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। তবে ভুবনেশ্বরে যাঁরা প্রথম একাদশে ছিলেন না তাঁদের নিয়েই মূলত বৃহস্পতিবার মহড়া সারেন হাবাস।

রণকৌশল ফাঁস হওয়ার আশঙ্কায় যুবভারতীর প্র্যাকটিস গ্রাউন্ডে দলবল নিয়ে রুদ্ধদ্বার অনুশীলনে স্ট্র্যাটেজি তৈরিতে ব্যস্ত থাকেন বাগানের স্প্যানিশ বস। দিমিত্রি পেত্রাতোস, আনোয়ার আলি, অনিরুদ্ধ থাপারা রিকভারি সেশনে ছিলেন। সেমিফাইনালের প্রথম লেগে রক্ষণে অনেক ভুলভ্রান্তি হয়েছিল। সেই ভুল শোধরাতে রক্ষণ মেরামতেও ব্যস্ত থাকেন লিস্টন কোলাসোদের কোচ। ডেড বল মুভমেন্ট থেকে গোল আটকানোর মহড়াও চলে।

জনি কাউকোর অফ ফর্ম ভাবাচ্ছে মোহনবাগান থিঙ্ক ট্যাঙ্ককে। চোট সারিয়ে ফেরার পর দলকে ভরসা দিলেও এখনও ৯০ মিনিট খেলার মতো ম্যাচ ফিট নন কাউকো। রবিবারের মেগা ম্যাচের আগে সবুজ-মেরুন সমর্থকরা চান, কাউকো এই ম্যাচে মাঝমাঠে খেলাটা নিয়ন্ত্রণ করুন। তাহলেই মোহনবাগানকে ঝলমলে দেখাবে। চোট সারিয়ে ভুবনেশ্বরে অ্যাওয়ে ম্যাচে সাহাল আব্দুল সামাদ ফিরলেও তাঁকে খেলাননি মোহনবাগান কোচ। তবে যুবভারতীতে ফাইনালে ওঠার মরণ-বাঁচন ম্যাচে সাহালকে খেলাতে চান হাবাস।

মোহনবাগান কোচ জানিয়েছেন, তিনি আশাবাদী যুবভারতীতে ৬০ হাজার সমর্থকের সামনে অ্যাওয়ে ম্যাচের ফল বদলে দিতে পারবেন। অধিনায়ক শুভাশিস বোসও বলেছেন, ‘‘আমরা ঘরের মাঠে জিতব। সমর্থকরা থাকবেন। ওদের হতাশ করব না। ফাইনাল আমরাই খেলব।’’ দিমিত্রি সমর্থকদের মাঠে আসার আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেছেন, ‘‘কোচ ঠিকই বলেছেন। আমরাই সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগ জিতে ফাইনালে যাব। সবাই মাঠে আসুন। ৯০ মিনিট আমাদের জন্য গলা ফাটান।’’
আরও পড়ুন- টি-২০ বিশ্বকাপে উইকেটরক্ষক হিসাবে এগিয়ে পন্থ : সুত্র







































































































































