NOTA-তে বেশি ভোট পড়লে কী হবে? নির্বাচন কমিশনের কাছে দ্রুত জবাব তলব সুপ্রিম কোর্টের

0
3

সময় যত গড়িয়েছে, নোটায় (NOTA) ভোটদানের (Voting) প্রবণতা বেড়েই চলেছে। কিন্তু ভেবে দেখুন তো যদি এমন হয় কোনও কেন্দ্রের প্রার্থীকেই যদি পছন্দ না হয় ভোটারদের, সেক্ষেত্রে কী হবে? এবার সেই বিষয়েই একটি আবেদন জমা পড়ল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court of India)। আবেদনে সাফ জানান হয়েছে, যদি কোনও কেন্দ্রে ভোটারদের একজনও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের পছন্দ না হয় সেক্ষেত্রে সেখানকার ভোট পুরোপুরি বাতিল করা হোক। যদিও এমন আবেদন পেয়ে এক মুহূর্ত সময় নষ্ট করেনি দেশের শীর্ষ আদালত। জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে (Election Commission of India) নোটিশ ধরিয়ে এই বিষয়ে তাঁদের মতামত জানানোর নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার সারা দেশে দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণ চলছে। আর তার মধ্যে আচমকা এমন আবেদনে বড়সড় বিপাকে পড়েছে নির্বাচন কমিশন।

এদিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং মনোজ মিশ্রর বেঞ্চ নির্বাচন কমিশনকে নোটা সম্পর্কিত সমস্ত বিধি পরীক্ষা করে তাদের মতামত দ্রুত জানানোর নির্দেশ দিয়েছে। সম্প্রতি ভারতীয় লেখক, শিব খেরা শীর্ষ আদালতের কাছে নোটা সংক্রান্ত এই আবেদনটি জমা দেন। আবেদনে বিশিষ্ট লেখক জানিয়েছেন, যদি কোনও কেন্দ্রে যদি দেখা যায় সব থেকে বেশি ভোট নোটায় পড়েছে তাহলে সেই কেন্দ্রের ভোট যেন একেবারে বাতিল করে দেওয়া হয়। এদিন আবেদনের শুনানি চলাকালীন খেরার আইনজীবী সুরাটের উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, যেখানে একজনের বেশি প্রার্থী না থাকায় ভোটগ্রহণ সম্ভব হচ্ছে না। তাঁর দাবি, কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকলেও নোটায় সমর্থনের পাল্লা ভারি হচ্ছে। কিন্তু নোটার সমর্থনকে অগ্রাহ্য করেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থী জয়ী হয়ে যাচ্ছেন। কী করে জনমত ছাড়া একজন প্রার্থী জয়ী হয়ে যাচ্ছেন তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। পাশাপাশি আবেদনে আরও বলা হয়েছে, যদি কোনও প্রার্থী নোটার থেকেও কম ভোট পান সেক্ষেত্রে আগামী ৫ বছরের জন্য তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না।

২০১৩ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই নোটা চালু হয়। এরপর থেকেই নন অব দ্য অ্যাবভে উত্তরোত্তর ভোটের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু নোটায় জনসমর্থন বেশি পড়লে আগামীদিনে কী হবে সেবিষয়ে একটি সুস্পষ্ট ধারণা দিতেই আবেদন জমা পড়ল দেশের শীর্ষ আদালতে। তবে এই বিষয়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশন সুপ্রিম কোর্টকে কী সিদ্ধান্ত জানায় সেদিকে নজর থাকবে।