প্রচারে ধর্মীয়বিভাজনমূলক মন্তব্যের জেরে মোদিকে নোটিশ কমিশনের, জবাব তলব রাহুলেরও

0
3

রাজস্থানের বাঁশওয়ারায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির করা মন্তব্যকে এক বাক্যে ঘৃণাভাষণ আখ্যা দিয়ে তার নিন্দায় গত সপ্তাহেই সরব হয়েছেন বিরোধী নেতৃত্ব। মোদির বিরুদ্ধে কমিশনে অভিযোগ করেছিল সিপিআইএম(এল), কংগ্রেসের মতো রাজনৈতিক দল। এমনকী, ১৭ হাজার ৪০০ আমজনতাও প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ঘৃণাভাষণ দেওয়ার অভিযোগ তুলে কমিশনে চিঠি দিয়েছিল। এরপরই তা খতিয়ে দেখতে থাকে কমিশন। শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রথম পদক্ষেপ নিল নির্বাচন কমিশন। মোদির মন্তব্যের ব্যাখ্যা চেয়ে বিজেপিকে নোটিশ পাঠিয়েছে কমিশন। একই সঙ্গে রাহুল গান্ধীকেও নোটিশ পাঠানো হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধেও উস্কানিমূলক মন্তব্যের অভিযোগ করা হয়েছিল।আগামী ২৯ এপ্রিলের মধ্যে দু’পক্ষকেই জবাব দিতে বলা হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত গত রবিবার। রাজস্থানের একটি সভায় গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারে থাকাকালীন কংগ্রেস বলেছিল দেশের সম্পদের উপর মুসলিমদের অধিকার সকলের আগে। ক্ষমতায় এলে ওরা আপনাদের কষ্টার্জিত সম্পত্তি কেড়ে নিয়ে বিলিয়ে দেবে। সে জন্য দরকার হলে আইন করবে তারা। কংগ্রেসের নির্বাচনী প্রতীক উল্লেখ করে জনতার উদ্দেশে মোদি বলেন, ওই হাত আপনাদের সম্পত্তির ওপর থাবা বসাবে।আপনাদের সম্পত্তি আর আপনাদের থাকবে না। পাবে তারা, যারা অনুপ্রবেশকারী। যারা শুধু বেশি বেশি সন্তানের জন্ম দেয়।নমোহন সিংয়ের সরকার তো বলেই দিয়েছে, দেশের সম্পদে অধিকার মুসলিমদেরই। আপনাদের মঙ্গলসূত্রটাও বাদ দেবে না।এরপরই রাজস্থানের বাঁশওয়ারায় মোদির ওই মন্তব্যকে এক বাক্যে ঘৃণাভাষণ আখ্যা দিয়ে নিন্দায় সরব হন বিরোধী সব নেতা।
সোমবার আলিগড়ে মোদি ফের ওই কথার পুনরাবৃত্তি করেন। তিনি বলেন, কংগ্রেস যে ওই কাজ করবে, তা তারা তাদের নির্বাচনী ইস্তেহারেই জানিয়ে দিয়েছে। ধন শুধু নারীর প্রাপ্যই নয়। আইন করে সেই অধিকার বিবাহিত নারীদের দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কংগ্রেস বলেছে, সেই আইনই তারা বদলে দেবে। মানুষের রোজগার কত তা তারা জরিপ করে দেখবে। কার কত জমি আছে, কটা গাড়ি আছে দেখবে। তারপর তা দখল করে বিলি করে দেবে। এরপরই মোদির বিরুদ্ধে কমিশনে অভিযোগ করা হয়।
রাহুল গান্ধীর একাধিক ভাষণ নিয়েও আপত্তি জানায় বিজেপি। বিজেপির অভিযোগ, রাহুল ভোটের জন্য উত্তর ভারত-দক্ষিণ ভারত বিভাজন করেছেন। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগের ভিত্তিতে নোটিশ পাঠানো হয়েছে কংগ্রেসকেও। কমিশনের বক্তব্য, প্রার্থী এবং তারকা প্রচারকদের বক্তব্যের দায় নিতে হবে রাজনৈতিক দলগুলোকেই।