মেদিনীপুরে দলীয় প্রার্থী জুন মালিয়ার সমর্থনের প্রচার সভা থেকে নাম না করে বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীকে ধুয়ে দিলেন তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তাঁর কথায়, “সবচেয়ে বড় বিশ্বাসঘাতক এই মেদিনীপুরে জন্মেছিল”। পুরুলিয়ায় গদ্দারের দুর্নীতি নিয়ে তীব্র আক্রমণ করেন মমতা।
বৃহস্পতিবার মেদিনীপুরে জুন মালিয়ার (June Malia) সমর্থনে জনসভা করেন মমতা। সেই সভা থেকে শুভেন্দুকে ধুয়ে দেন তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো। বলেন, “বলেছিল বোমা ফাটাব। তারপর ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি খেয়ে নিল। এবার স্কুলগুলি চলবে কী করে?“ মমতার কথায়, “ভোটে যাতে কর্মীরা ডিউটি করতে না পারে, তাই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে বিজেপি।“
এরপরেই আরএসএস-কে নিশানা করেন মমতা। বলেন, ”কেশিয়াড়িতে আরএসএসের একটা বড় স্কুল আছে। শুনেছি, ওরা অনেক সম্পত্তি করেছে। আমি আগে ভাবতাম, আরএসএস (RSS) মানে ত্যাগী। কিন্তু এখন ওরা ভোগ করতে করতে এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে ত্যাগধর্ম ভুলে ভোগী হয়ে উঠেছে। আর তার জন্যই বিজেপি এত বাড়াবাড়ি করতে পারছে।”
তৃণমূল সুপ্রিমোর অভিযোগ, ”ভোটের আগে আরএসএস গ্রামে গ্রামে গিয়ে একটু একটু টাকা দেবে। টাকা নেবেন কিনা, আপনাদের ব্যাপার। কিন্তু ভোটটা দেবেন তৃণমূলকে। টাকা দিয়ে ওরা ভোট কিনতে চাইবে। কিন্তু টাকা দিয়ে আর কদিন চলবে? জুন মাটির মেয়ে। ওকে আপনারা ভোটে জেতালে কাজ করবে। ও কিন্তু মেদিনীপুর থেকে বিধায়ক হয়ে পালিয়ে যায়নি। ওখানে পড়ে থেকে কাজ করেছে।”
কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে সরব হন মমতা। বলেন, ”১০০ দিনের টাকা বন্ধ করে রেখেছে কেন্দ্র। আমরাই তা মিটিয়েছি।” তোপ দেগে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ”লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ করে দেবে বলছে। আমি বলব লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ করতে চাইলে বিজেপির ভান্ডার উপড়ে দিন।” শুভেন্দু অধিকারীকে ‘গদ্দার’ সম্বোধন করে মমতা বলেন, ”আমরা চাকরি দিচ্ছি, আর ওরা চাকরি খাচ্ছে।” হুঙ্কার তুলে মমতা বলেন, ”লোডশেডিং করে ভোট দখল, লোকের চাকরি খেয়ে নেওয়ার হিসেব মানুষ বুঝে নেব এই নির্বাচনে।” তিনি প্রশ্ন তোলেন, ”পুরুলিয়ার লোকেরা রাস্তায় কেন বসেছিল? তিনি কি কারও থেকে টাকা নেননি?” মেদিনীপুর থেকে দিলীপ ঘোষকে সরানো হল কেন, প্রশ্ন তোলেন মমতা।