নির্বাচনী বন্ডের নামে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি। তদন্তে SIT গঠনের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানাল দুটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। মামলা দায়ের করে আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ (Prashant Bhusan)মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের উদাহরণ তুলে জানান যে ওই সংস্থা ভারতীয় জনতা পার্টিকে প্রায় ১৪০ কোটি টাকা দিয়েছে। এর বিনিময়ে কেন্দ্র সরকার ওই সংস্থাকে ১৪ হাজার কোটির বরাত দিয়েছে। অর্থাৎ হিসেব করলে দাঁড়ায় পুরো কেলেঙ্কারির পরিমাণ প্রায় ১৬ লক্ষ কোটি। নির্বাচনী বন্ডের (Electoral Bonds) দুর্নীতির অঙ্ক নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করে প্রশান্ত জানান, বন্ডের মাধ্যমে প্রত্যেক হাজার কোটির অনুদানের জন্য সংস্থাগুলি তার ১০০ গুন সুবিধা সরকারের কাছ থেকে নিয়েছে। শুধু তাই নয়, বন্ডের মাধ্যমে অনুদান না হলে ইডি-সিবিআই হয়তো বহু সংস্থার দুর্নীতি প্রকাশ্যে আনতে পারত বলে অভিযোগ তাঁর।

সেন্টার ফর পাবলিক ইন্টারেস্ট লিটিগেশন এবং ‘কমন কজ’ নামের ওই দুই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে যে, বন্ডের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার কেলেঙ্কারি হয়েছে। তাই সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে সিট গঠন করে তদন্তের আর্জি জানানো হয়। আবেদনকারীদের দাখিল করা পিটিশনে আরও বলা হয়েছে যে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (এসবিআই) দ্বারা নির্বাচন কমিশনের সাথে শেয়ার করা ডেটাতে এমন দৃষ্টান্তও দেখা গেছে যেখানে ক্ষমতাসীন দলগুলি আপাতদৃষ্টিতে জনস্বার্থ এবং সরকারি কোষাগারের খরচে বেসরকারি কর্পোরেটদের সুবিধা প্রদানের জন্য নীতি এবং আইন সংশোধন করেছে। তাই গোটা বিষয়টি নিয়ে কীভাবে তদন্ত হচ্ছে তা পর্যবেক্ষণ করুক দেশের শীর্ষ আদালত।




 
 
 
 



































































































































