বুধবার থেকে তাপমাত্রা (Temperature) আরও বাড়ার ইঙ্গিত আলিপুর আবহাওয়া দফতরের (Alipore Weather Office)। এদিন হাওয়া অফিস জানিয়েছে, অতীতের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে ফেলতে পারে আবহাওয়া। ৪৪ বছর আগে ১৯৮০ সালের এপ্রিল মাসে শহর কলকাতার (Kolkata ) তাপমাত্রা ছুঁয়েছিল ৪১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন হাওয়া অফিস স্পষ্ট জানিয়েছে, আগামী সাত দিন গরমে নাজেহাল হতে হবে সাধারণ মানুষকে।


বুধবার শহর কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৪০ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার কিছুটা হলেও তাপমাত্রা কমেছিল, যা স্বস্তি দিয়েছিল সাধারণ মানুষকে। এদিন শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি বেশি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি বেশি। এদিন বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সর্বাধিক ৭৭ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৩৫ শতাংশ।
এদিকে বুধবারও আবহাওয়ার রুদ্ররূপ দেখা যাবে বলে আশঙ্কা আবহবিদদের। তবে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, কবে হবে বৃষ্টিপাত? সোমবার কলকাতার আকাশ ছিল আংশিক মেঘলা। যা আশা জাগিয়েছিল সাধারণ মানুষের মধ্যে। কিন্তু, এখনই বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। অর্থাৎ এই ভ্যাপসা গরমের ভোগান্তি পোহাতে হবে সাধারণ মানুষকে। অন্যদিকে, দক্ষিণবঙ্গে বুধবার থেকে তাপপ্রবাহের স্পেল চলবে। বুধবার দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা জারি করেছে হাওয়া অফিস। চরম তাপপ্রবাহের লাল সতর্কবার্তা থাকবে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান এবং বাঁকুড়া এই চার জেলাতে। হলুদ সতর্কবার্তা জারি দক্ষিণ ২৪ পরগনার কিছু অংশে। বৃহস্পতিবার চরম তাপপ্রবাহের লাল সতর্কবার্তা রয়েছে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান এবং বাঁকুড়া এই চার জেলাতে। শুক্রবার ও শনিবার আরও অস্বস্তি বাড়বে।

তবে শুধু কলকাতা এবং দক্ষিণবঙ্গে নয়, উত্তরবঙ্গেও তাপপ্রবাহের প্রভাব পড়ছে। নীচের দিকের জেলাগুলিতে গরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়া থাকতে পারে। অন্যদিকে উপরের দিকের জেলাগুলিতে ক্রমশ কমতে পারে বৃষ্টি, বাড়তে পারে তাপমাত্রা।









































































































































