নাগরিকত্ব আইন-২০১৯ এর মাধ্যমে নাগরিকত্বর জন্য আবেদন করতে গত ১১ মার্চ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক CAA লাগু করে। যেখানে নিপীড়িত উদ্বাস্তুদের নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি থাকলেও CAA আইনে নাগরিকত্বর জন্য আবেদন করতে গেলে আবেদনকারীর বাংলাদেশ কিংবা পাকিস্তানের ডকুমেন্টস আবশ্যিক করা হয়েছে। এই সত্য তুলে ধরতে এবং উদ্বাস্তু বাঙালিদের নিঃশর্ত নাগরিকত্ব প্রদানের দাবিতে বাংলা পক্ষ গত এক মাস ধরে বিভিন্ন জায়গায় সভা করছে।
CAA আইনের কাগজ হাতে নিয়ে আইন পড়ে শুনিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তুনু ঠাকুর, জগন্নাথ সরকার সহ সকল বিজেপি নেতাদের চ্যালেঞ্জ দেওয়া হয় বাংলা পক্ষের তরফে। CAA রুল ফ্রেমের পর বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকারকে চ্যালেঞ্জ করা হয় যে CAA আইনে আবেদন করতে গেলে আবেদনকারীর বাংলাদেশ কিংবা পাকিস্তানের ডকুমেন্টস আবশ্যিক করা হয়েছে সেটা সে খণ্ডিত করুক। কিন্তু বিজেপি নেতারা এর কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি।
গত এপ্রিল বনগাঁর বাটার মোড়ে বাংলা পক্ষর পথসভা থেকে বিজেপিকে CAA নিয়ে চ্যালেঞ্জ করা হয়। বিজেপির লোকেরাই কেন সিএএ তে আবেদন করেনি- এই প্রশ্ন বারবার ওঠে। এরপর বিজেপি আশ্রিত কিছু দুষ্কৃতী বাংলা পক্ষর পথসভাতে বিশৃঙ্খলা করতে চলে আসে। তারা বাংলা পক্ষর সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায় সহ অন্যান্য সদস্য এবং উপস্থিত পথ চলতি শ্রোতাদেরকে শারীরিক ভাবে হেনস্থা করে, হেলমেট তুলে মারতে উদ্যত হয় বাংলা পক্ষর সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতিকে। প্রাণঘাতী হামলা চালানোর হুমকি দেয়। চেয়ার ভাঙচুর করে। এরপর পুলিশ এসে ঘটনা সামাল দেয়। রাতেই বাংলা পক্ষর সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি বনগাঁ থানায় FIR করে।