শুক্রবারই দেশের ১০২ আসনে শেষ হয়েছে প্রথম দফার ভোটাভুটি। আর তার চব্বিশ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই শনিবারই মৃত্যু হল যোগীরাজ্যের (Yogi State) বিজেপি প্রার্থীর (BJP Candidates)। সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরেই শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন মোরাদাবাদ (Moradabad) কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী (BJP Candidate) তথা বিদায়ী সাংসদ কুনওয়ার সর্বেশ সিং (Kunwar Sarvesh Singh)। এমনকি অসুস্থতার কারণে নির্বাচনী প্রচারেও (Election Campaigning) অংশ নিতে পারেননি তিনি। তবে শুক্রবার মোরাদাবাদে ভোটগ্রহণ পর্ব শেষ হওয়ার পর শনিবারই দিল্লির এইমস (AIIMS) হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সর্বেশ। বিজেপি প্রার্থীর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করলেও অভিজ্ঞ মহলের মতে, যদি প্রার্থী অসুস্থই ছিলেন সেক্ষেত্রে কেন তাঁকে নির্বাচনের টিকিট দিল বিজেপি? তা নিয়ে উঠছে বিস্তর প্রশ্ন।
ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে এক্স হ্যান্ডেলে শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। এক্স হ্যান্ডলে তিনি লিখেছেন, মোরাদাবাদের বিজেপি প্রার্থী কুনওয়ার সর্বেশ সিংয়ের মৃত্যুর খবরে আমি স্তম্ভিত। বিজেপি পরিবারে এটি অপূরণীয় একটি ক্ষতি। ওঁর পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। ভগবান রামের কাছে আমার প্রার্থনা, ওঁর আত্মা শান্তি পাক, এই দুঃখ সইতে পারার ক্ষমতা পান ওঁর পরিবারের মানুষ।’’
मुरादाबाद लोकसभा क्षेत्र से भाजपा प्रत्याशी एवं पूर्व सांसद कुंवर सर्वेश सिंह जी के निधन से स्तब्ध हूं। ये भाजपा परिवार के लिए अपूरणीय क्षति है।
मेरी संवेदनाएं शोक संतप्त परिजनों के साथ हैं।
प्रभु श्री राम से प्रार्थना है कि दिवंगत आत्मा को अपने श्री चरणों में स्थान तथा…
— Yogi Adityanath (@myogiadityanath) April 20, 2024
২০১৪ ও ২০১৯ সালে পরপর দুবার মোরাদাবাদ কেন্দ্রের সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন সর্বেশ। এরপর তৃতীয় বার অর্থাৎ ২০২৪ সালেও মোরাদাবাদ আসনের জন্য তাঁর উপরেই ভরসা রেখেছিল দল। তবে টিকিট পেয়েও তিনি শারীরিক সমস্যার কারণে ভোটের ময়দান থেকে অনেকটাই দূরে সরে যান। সূত্রের খবর, সর্বেশের গলায় কিছু সমস্যা হয়েছিল। সেকারণে দীর্ঘ দিন ধরেই চিকিৎসা করাচ্ছিলেন তিনি। নির্বাচনের কিছুদিন আগেও সর্বেশের গলায় অস্ত্রোপচার হয়। তবে শনিবার মোরাদাবাদের ওই বিজেপি প্রার্থী দিল্লির এইমসে শারীরিক পরীক্ষার জন্য গেলে সেখানে নতুন করে তাঁর অসুস্থতা বাড়ে। এরপর হাসপাতালেই তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে।